আকাশে মিষ্টি রোদ

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালার পর্দা সরাতেই দেখি, আকাশে মিষ্টি রোদ, যেন পুরো পৃথিবীটা হাসছে। মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছিল। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এল, ‘আজ ভিন্ন কিছু একটা করি!’

মা তখন রান্নাঘরে চা বানাচ্ছিলেন, আমি বললাম—

‘মা, আজ একটু বের হব।’

‘তুই সকালে রোদ দেখলেই বের হবি?’ হেসে বললেন মা।

‘আজকের রোদটা বিশেষ মনে হচ্ছে।’ আমি মুচকি হেসে বললাম।

চা খেয়ে আমি হাঁটতে বের হলাম। রাস্তার ধারে বাতাসে গাছের পাতা দুলছে, পাখিরা ডাকছে। পুরো দৃশ্যটা একটা সিনেমার মতো লাগছিল। হঠাৎ দেখি, ছোট্ট একটি ছেলে রাস্তার পাশে কাগজের ঘুড়ি ওড়ানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না।

আরও পড়ুন

আমি থেমে গেলাম। বললাম, ‘ঘুড়িটা আমাকে দাও। আমি ঠিক করে দিই।’

ঘুড়িটার সুতা একটু কেটে নতুন করে বাঁধলাম, তারপর বাতাসে ধরিয়ে দিলাম। আর কী, এবার দারুণভাবে উড়ল! ছেলেটার মুচকি হাসি দেখে মনে হলো, আমার নিজের ঘুড়িই উড়ছে।

এরপর আমি রিকশায় করে নদীর ধারে গেলাম। ওখানে হালকা বাতাস, সূর্যের আলোতে নদীর পানি ঝলমল করছে। অনেকক্ষণ বসে রইলাম, নিজের মাথার ভেতর শান্তি অনুভব করছিলাম।

মনে হচ্ছিল, এমন সাধারণ দিনগুলোই তো আসলে সবচেয়ে সুন্দর।

লেখক: শিক্ষার্থী, অষ্টম শ্রেণি, সামসুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন