শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কী করব

অলংকরণ: সাদাত

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তো তোমরা কমবেশি জানো। ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা ভারত ছেড়ে চলে গেল। ভারতকে ভাগ করল দুটি দেশে, ভারত আর পাকিস্তান। পশ্চিম বাংলা পড়ল ভারতে, আর পূর্ব বাংলা পড়ল পাকিস্তানে। পাকিস্তানের রাজধানী হলো করাচি। মানে ঢাকা থেকে হাজারো মাইল দূরে। পাকিস্তানের দুটো অংশ, পশ্চিম পাকিস্তান আর পূর্ব বাংলা, পরে পূর্ব বাংলার নামকরণ করা হলো পূর্ব পাকিস্তান, তার মাঝখানে ভারত। দুই প্রদেশের তাই কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই।

পাকিস্তানের বেশির ভাগ লোকের ভাষা ছিল বাংলা। তার পরও পশ্চিম পাকিস্তানিরা বলল, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। বাঙালিরা প্রতিবাদ করল। অনেক আন্দোলন করল। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ চালাল গুলি। শহীদ হলেন রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ অনেকেই। সেই থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি শোক দিবস, শহীদ দিবস আর এখন তা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সেই ১৯৫২ সাল থেকে ক্রমাগত আন্দোলন-সংগ্রাম করে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। বিজয় এল ১৬ ডিসেম্বর।

আমরা ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। এখন আমাদের কর্তব্য কী। কোনো ভাষার প্রতি আমাদের রাগ নেই, ক্ষোভ নেই। সব ভাষা যেন আমরা ভালোভাবে শিখি। বিশেষ করে বাংলা ভাষাটা।

সবাই বাংলা ভাষা ভালোবেসে শিখব। বই পড়ব। তাহলেই আমাদের বাংলা মায়ের মুখে হাসি ফুটে উঠবে।