জীবাণুর ভয়ে কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে চাইতেন না লুই পাস্তুর

অণুজীববিজ্ঞানের জনক লুই পাস্তুর। ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ফোবিয়া’ বলে কথা আছে। বাংলায় ‘আতঙ্ক’ বললে বোধ হয় আরও ভালো শোনায় কথাটা। আতঙ্কের ব্যাপারটা বিজ্ঞানীদের ভেতরেও কাজ করে। অথচ বিজ্ঞানীদের কাজই হলো মানুষের জীবনকে কীভাবে নিরাপদ ও আরও উন্নত করা যায় সে পথ খোঁজা। বিখ্যাত বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর। জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার করে তিনি সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। জলাতঙ্ক নির্মূল করার ওষুধ আবিষ্কার যিনি করেছেন, তিনিই কি না আতঙ্কে ভুগতেন! তা-ও আবার জীবাণুর আতঙ্ক। জীবাণু নিয়ে তাঁর কারবার। তাই ভালো করেই জানতেন কোথায় কোথায় সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে। সেই জানাটাই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মনের চোখে দেখতেন চারদিকে ‘জীবাণুরা করে হাউ হাউ’। তাই সব সময় সতর্ক হয়ে চলতেন। কারও সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে চাইতেন না। পাস্তুর জানতেন মানুষের হাত হলো জীবাণুর ডিপো।

একদিন এক অভাবনীয় কাণ্ড করে বসলেন পাস্তুর। তিনি তখন বিখ্যাত। প্রায়ই সমাজের বড় বড় মানুষের পায়ের ধুলো পড়ে তাঁর বাড়িতে। সেদিনও একজন এসেছিলেন। সরকারের বড় কোনো কর্মকর্তা। পাস্তুর তাঁকে দেখে বেজায় খুশি। বেমালুম ভুলে বসেছেন জীবাণুর কথা। হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে দিলেন গণ্যমান্য লোকটার দিকে। হ্যান্ডশেক করার পরেই মনে পড়ল আতঙ্কের কথা! সবর্নাশ। এক দৌড়ে চলে গেলেন সাবান দিয়ে হাত ধুতে। গণ্যমান্য ব্যক্তিটা তো একেবারে থ!

আরও পড়ুন