একসঙ্গে বড় হওয়ার গল্প

জাহিন যাঈমাহ্ কবিরছবি: আব্দুল ইলা

দেখতে দেখতে বারোতে কিআ। পাঠক হয়ে কিআর সঙ্গে আমার পথচলা এই পুরো এক যুগ ধরেই। তবে যদি কাজের কথা বলি, তার বয়স অর্ধযুগ। প্রথমে পাঠক, এরপর স্বেচ্ছাসেবক, সেই থেকে এখন প্রদায়ক—পুরোটা যেন আমাদের একসঙ্গে বড় হওয়ার গল্প।

২০১৮ সাল। সামনে এসএসসি পরীক্ষা। ঠিক তখনই এক সভার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কিআর সঙ্গে আমার আসল পর্ব। সেদিনের সেই সভায় একাই গিয়েছিলাম। মিটিং রুমে ঢুকেই দেখি, এখানে তো সবাই সবাইকে চেনে। আমিই বোধ হয় একা, কাউকে চিনি না। এভাবে না চিনেই কেটে গেল বেশ অনেক দিন। সত্যি বলতে, হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এত দিনেও যেহেতু কারও সঙ্গে খুব একটা খাতির জমল না, তাহলে হয়তো একলাই থাকতে হবে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এই গোটা সাত বছরে কিআ আমাকে সবচেয়ে বেশি যা দিয়েছে, তা হলো অসাধারণ কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ।

লেখালেখি, আঁকাআঁকি, উপস্থাপনা, গ্রাফিকস ডিজাইনিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট—এক এক করে প্রতিটি নতুন করে আবিষ্কার করার সুযোগও এই কিআর কাছ থেকেই পাওয়া। নিজেকে যাচাই করার সুযোগের সবটুকু পেয়েছি এখান থেকে। ঠিক প্রায় সাত বছর আগে প্রথম যেদিন কারওয়ান বাজারে পা রাখি সভায় যোগ দিতে, সেদিনও বুঝিনি সামনে এ জায়গাটুকুই হতে যাচ্ছে জীবনের বিশাল একটা অংশ। তাই তো যখন শহরে কোথাও মন টেকে না, আমরা সবাই ছুটে আসি প্রগতি ভবনের লিফটের সাতে, কিআর কাছে। কিআ তুমি এভাবেই বড় হও, আর আমাদেরও এভাবেই আগলে রাখো। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা তোমাকে! হ্যাপি টুয়েলভ।

আরও পড়ুন