২০১৪ সালের কথা। বাসায় বড় আপুর বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। তারই একটা অংশ আপুর বিয়ের শাড়ি কেনা। অনেক ঘুরে ঘুরেও আপুর পছন্দমতো শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে বিয়ের দিন এগিয়ে আসতে থাকল, কিন্তু তখনো শাড়ি কেনা হলো না।
তেমনই একদিন সারা দিন দোকানে ঘোরাঘুরি শেষে ক্লান্ত আমি রাতে আমার বোনের পাশে ঘুমিয়ে পড়লাম এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই গভীর ঘুমে তলিয়ে পড়লাম। আপু তখনো জেগে ছিল
হঠাৎ আমি আধ ঘুমন্ত অবস্থায় সোজা বিছানায় বসে পড়লাম। আস্তে আস্তে ডান হাত তুলে আঙুল দিয়ে সামনের দিকে কী যেন একটা নির্দেশ করলাম। এখানে বলে রাখা ভালো আমার আপু ভূত-প্রেত এগুলোতে বেশ ভয় পায়। তাই আমি যখন ওই গভীর নিশ্চুপ রাতে এমন অদ্ভুত আচরণ শুরু করলাম তখন ও মোটামুটি চিরকার করার জন্য প্রস্তুত। ঠিক ওই সময় আমি মুখ খুললাম এবং আমি যা বললাম তা শুনে আপু প্রথমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও পরে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। আসলে হয়েছিল কি, সারা দিন শাড়ি খোঁজার ধকল শেষে রাতে যখন ঘুমিয়ে পড়লাম তখন আমি স্বপ্ন দেখছিলাম যে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আপুর একটা শাড়ি পছন্দ হয়েছে। কিন্তু হঠাৎই সেই শাড়ির হাত-পা গজিয়ে গেল এবং শাড়িটা পালাতে শুরু করল। তাই দেখে আমি আধ ঘুমন্ত অবস্থায় বলে উঠলাম ‘আপু! আপু! তোমার শাড়ি পালিয়ে যাচ্ছে। ধর, ধর!’
ওই রাতে আমি ঘুমিয়ে পড়লেও পরদিন সকালে সবার ঠাট্টা-মশকরা শুরু হলো কারণ আপু গত রাতের ঘটনা বাসার সব আত্মীয়স্বজনকে বলে দিয়েছে। ‘রাকা, বিয়ের শাড়ি পালিয়ে গিয়েছে? দেখতে কেমন? থানায় রিপোর্ট করতে হবে?’ অতঃপর বিয়ের শাড়ি সত্যি সত্যি কেনা হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকল এই মধুর টিপ্পনী!