তোরা ছিলি, তোরা আছিস, তোরা থাকবি
তারপর আর কী হলো, স্কুলজীবনের শেষ বছরটায় এসে আলাদা হতেই হলো আমাদের চারজনকে। যাদের ছাড়া ক্লাস করতে বোরিং লাগত, যাদের কাছ থেকে দেখে আমরা তিনজন গণিতের হোমওয়ার্ক করতাম, তারা আজ বহু দূরে। স্কুল ছুটির পর একসঙ্গে ভেলপুরি খাইনি তো অনেক দিন। অথচ গত বছরও আমাদের চারজনকে যে চারটি আলাদা স্কুলে যেতে হবে, তা কল্পনাই করা যেত না।
এখন ভিডিও কলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বললেও সেই মজা নিই। পর্দার এপাশ থেকে কারও মুখ দেখে হাসি পেলেও সামনাসামনি একসঙ্গে হেসে ওঠার যে উষ্ণতা ছিল, তা কোথাও নেই। তবু বিশ্বাস করি, যেখানেই থাকি না কেন, দূরত্ব আমাদের আলাদা করতে পারবে না। হয়তো একদিন আবার সবাই মিলে আড্ডা দেব, হয়তো আবার কোথাও বসে ভেলপুরি খাব, আর পুরোনো দিনের মতো হাসতে হাসতে চোখে পানি আসবে।
তোরা ছিলি, তোরা আছিস, আর আমি জানি; তোরা সব সময়ই থাকবি।
আনবী, মালিহা, জাহিদা, মিথিলা (AMJM)
লেখক: শিক্ষার্থী, নবম শ্রেণি, সিটি গার্লস হাইস্কুল, ফেনী