বিশ্বটাকে জয় করার ইচ্ছা তরুণদের

'গোল্ডফিশকে ছোট বা বড় যে জায়গাতেই রাখা হোক না কেন, তার দেখার গণ্ডি বা স্মৃতিশক্তি খুব সীমাবদ্ধ। তার পৃথিবী খুব ছোট। তোমরা কি অ্যাকুরিয়ামে থাকা গোল্ডফিশ হতে চাও, নাকি পুরো মহাবিশ্বটাকে দেখতে চাও?' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের করা এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বটাকে জয় করার কথাই বলেন উপস্থিত তরুণেরা।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গতকাল কিশোর আলোর সভাকক্ষে 'আলোর পথে প্রীতির সাথে' শীর্ষক লেখালেখি কর্মশালায় ওই প্রশ্ন করেন এই লেখক। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, প্রথম আলো বন্ধুসভা ও কিশোর আলোর সম্মিলিত প্রকল্প ‘সম্প্রীতি’র আওতায় আয়োজিত এটি দ্বিতীয় কর্মশালা।

আলোর পথে প্রীতির সাথে শীর্ষক লেখালেখি কর্মশালায় অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক
আলোর পথে প্রীতির সাথে শীর্ষক লেখালেখি কর্মশালায় অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক

তিনি ছাড়াও কর্মশালাটিতে লেখালেখি নিয়ে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শাহরিয়ার মান্নান ও প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন। শাহরিয়ার মান্নান সম্প্রীতি প্রকল্প সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক পাভেল মহিতুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন তরুণ অংশ নেয়।

কর্মশালার শুরুতে আনিসুল হক লেখালেখির ধরন নিয়ে আলোচনা করেন। কবিতার ছন্দ, গল্প লেখার সহজ উপায়সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, হিংসামুক্ত সমাজ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহিত্য, কবিতা, গল্প বা চলচ্চিত্রের ভূমিকা অনেক। সে জন্য বেশি বেশি বই পড়তে হবে ও সেটাকে লেখায় রূপ দিতে হবে।

কর্মশালা শেষে আগত অতিথির সাথে অংশ নেওয়া তরুণদের ফটোসেশন
কর্মশালা শেষে আগত অতিথির সাথে অংশ নেওয়া তরুণদের ফটোসেশন

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, গল্প একটি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আসে। ঘুরে বেড়ানো থেকে লেখালেখির অনেক উপাদান পাওয়া যায়। ভালো লেখক হতে হলে সেরাদের রয়ে সয়ে অনুসরণ করতে হবে, কিন্তু অনুকরণ করা যাবে না।

ছবি: মাহি হাসান