এই ৭ মসলা হলুদের চেয়ে বেশি প্রদাহ কমায়
শরীরে প্রদাহ (inflammation) বেশি হলে নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। হলুদ বেশ পরিচিত একটি মসলা। এটা প্রদাহ কমাতে সহায়ক। তবে আরও কিছু মসলা আছে, যেগুলো প্রদাহ কমাতে বেশ কার্যকর।
১. আদা
আদায় আছে জিঞ্জারলস ও শোগাওলস নামের উপাদান। এগুলো শরীরে প্রদাহ তৈরি করা প্রোটিন কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা মানুষের শরীরে বাতের ব্যথা কমাতে, রোগ বিস্তারের গতি ধীর করতে পারে। যেকোনো ভাজি, সবজি, চা বা গরম পানিতে আদা দিলে স্বাদও বাড়ে।
২. লবঙ্গ
লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল নামের একটি উপাদান, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি। এটি ব্যথা আর প্রদাহ কমাতে সহায়তা করতে পারে। পায়েস, কেক, রুটি, ওটমিল বা চায়ে লবঙ্গ দিলে সুন্দর ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
৩. দারুচিনি
দারুচিনিতে রয়েছে সিনামালডিহাইড, যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় বলা হয়েছে, দারুচিনি মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দিতে পারে। ডিমেনশিয়া বা আলঝেইমারের ঝুঁকি কমাতে পারে। দারুচিনি চা, কফি, পায়েস, কেক ও ওটমিল—সব খাবারেই দেওয়া যায়।
৪. জাফরান
দামি মসলা জাফরানের রং ও গন্ধ আসে ক্রোসিন ও স্যাফরানাল নামের উপাদান থেকে। এগুলো শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত জাফরান খেলে রক্তের সিআরপি (C-reactive protein) কমতে পারে। কিছু গবেষণা বলে, জাফরান প্রদাহজনিত অন্ত্রের রোগেও উপকারী ভূমিকা রাখে। জাফরানের দাম বেশি। তবে অল্প ব্যবহারে স্যুপ, স্টু বা ভাতে দারুণ স্বাদ আসে। মিষ্টান্নতেও জাফরান ব্যবহার করা হয়।
৫. এলাচ
এলাচে থাকা তেলজাতীয় উপাদানগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। গবেষণায় জানা যায়, এলাচ শরীরের প্রদাহের মাত্রা কমাতে পারে। ঝোল তরকারি, কোরমা, মিষ্টি বা চায়ে এলাচের ব্যবহার খুব জনপ্রিয়।
৬. গোলমরিচ
গোলমরিচে আছে পাইপেরিন, যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে, বিশেষ করে মস্তিষ্কে। কিছু গবেষণায় পাইপেরিনকে আলঝেইমার ও পারকিনসনের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে গোলমরিচ সহায়ক বলে উঠে এসেছে। সালাদ, ভাত বা ডিমে টাটকা গোলমরিচ দিলে খাবারের স্বাদ অনেক বেড়ে যায়।
৭. রসুন
রসুনে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, এটি অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগের উপসর্গ কমাতে পারে। রসুনযুক্ত খাবার কোলোরেকটাল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করতে পারে। প্রায় সব নোনতা খাবারেই রসুন ভালো মানিয়ে যায়।
এসব মসলা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, নিয়মিত ব্যবহার করলে শরীরকে সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে। তাই আমাদের নিত্যদিনের খাবারে এসব মসলা যুক্ত করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
সূত্র: ভেরিওয়েল হেলথ