ফুটবল বিশ্বকাপের এই ঘটনাগুলো কি তুমি জানো?

১৯৫৮ সালে ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ

গোলশূন্য ড্র কী জিনিস

১৯৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হলেও ১৯৫৮ সালের আগে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ গোলবিহীন ছিল না। এমনকি যেসব ম্যাচ ড্র হতো, সেসব ম্যাচেও গোল হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ, যা কোনো গোল ছাড়াই শেষ হয়। সেটাও ১৯৫৮ সালে ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ, যদিও এর আগে ছয়টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে।

হিরো থেকে ভিলেন

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জার্মানি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি নামে। ১৯৭৪ সালে দুই জার্মানি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় এবং একই গ্রুপে পড়ে। গ্রুপে উভয় দলের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা সাম্যবাদ ও পুঁজিবাদী বিশ্বের প্রচারমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। ম্যাচে ইয়ুর্গেন স্প্যারোসার গোলে পূর্ব জার্মানি ১-০ গোলে পশ্চিম জার্মানিকে পরাজিত করে। এই ঘটনায় ইয়ুর্গেন স্প্যারোসা পূর্ব জার্মানির হিরোয় পরিণত হন। কিন্তু সেই স্প্যারোসা সুযোগ পেয়ে একসময় পূর্ব জার্মানি থেকে পালিয়ে পশ্চিম জার্মানিতে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন।

পিস্তলবাজ

১৯৩০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে গেটকিপাররা দর্শকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০টি পিস্তল জব্দ করেন। সে সময় উরুগুয়ের রাজধানী মন্টিভিডিওতে সাধারণ নাগরিকেরা কথায় কথায় দাঙ্গা–হাঙ্গামায় জড়িয়ে যেতেন আর পিস্তল বের করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চড়াও হতেন।

৪ নম্বরে যত আপত্তি

ফিফার নিয়ম অনুসারে প্রতিটি দলে ১ থেকে ২৩ নম্বর জার্সি থাকতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জাপানের ৪ নম্বর জার্সি নিয়ে দারুণ আপত্তি ছিল। কারণ, জাপানে চারের উচ্চারণের সঙ্গে মৃত্যু শব্দটির দারুণ মিল রয়েছে। যার ফলে দলের কেউ ৪ নম্বর জার্সি পরতে নারাজ। কিন্তু ফিফার নিয়ম তো মানতেই হবে। তাই সেখানে ৪ নম্বর জার্সি কে পরবেন, সেটা নিয়ে লটারি করা হয়।

বন্ধু কেউ নয়

১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে অত্যন্ত দুর্ভাগা দল স্কটল্যান্ডের কোচ এ্যালি ম্যাকলিওড এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন। সেখানে এসে তিনি আবিষ্কার করেন সবাই তাঁর কঠিন সমালোচনা করছেন। এমন সময় একটা কুকুর সেই সংবাদ সম্মেলনে ঢুকে পড়ে। প্রশ্নবাণে জর্জরিত এ্যালি ম্যাকলিওড এই অবস্থায় বলেন, ‘এই কুকুরটা ছাড়া এই রুমে আমার আর কোনো বন্ধু নেই।’ বলে যেই না তিনি কুকুরটা পিঠ চাপড়ে দিতে যান, অমনি কুকুরটা তাঁকে কামড়ে দেয়।