কে জিতবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

আবার এল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ১৪ নভেম্বরের সেই ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া সেবারই প্রথম জিতল টি-টোয়েন্টির শিরোপা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই হাজির আরেকটি বিশ্বকাপ। চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াই এবার বিশ্বকাপের স্বাগতিক। সাধারণত দুই বছর পরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে আইসিসি। করোনা মহামারির জন্য ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে এক বছরের ব্যবধানেই পর্দা উঠছে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের।

গতবারের মতো এবারের বিশ্বকাপকেও ভাগ করা হয়েছে প্রথম পর্ব এবং সুপার টুয়েলভ—এই দুই ভাগে। ১৬ অক্টোবর প্রথম পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা আর নামিবিয়া। মাত্র কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েও সরাসরি সুপার টুয়েলভে আসতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শুধু তারাই নয়, দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজও এবার খেলছে প্রথম পর্বে। সঙ্গে আছে আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়ার মতো দল। যে কেউই সুপার টুয়েলভে ওঠার ক্ষমতা রাখে। ফলে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব বেশ জমজমাট। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ সুপার টুয়েলভ শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে। সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। গত বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের জন্য সরাসরি নির্বাচিত হয়েছিল ১০টি দল। এবার সরাসরি খেলছে ৮টি দল। ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম আট দলের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। তাই এবার সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সাকিব আল হাসানের দল।

সুপার টুয়েলভে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফেবারিট হিসেবে ধরে নিচ্ছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। গ্রুপ পর্বে খেলা শ্রীলঙ্কা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও ফেবারিটের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সহজ নয়। তাহলে কে জিতবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ? চলো দেখি কোন দলের সম্ভাবনা কতটুকু।

বিশ্বকাপে হট ফেবারিট হিসেবেই অংশ নিচ্ছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া

দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ছন্দে থাক বা না থাক, মঞ্চটা যখন বিশ্বকাপ, অস্ট্রেলিয়া সব সময়ই ফেবারিট। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও এককবার সেটি প্রমাণ করেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কেউই ভাবেনি অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিততে পারবে। অনেকে তো গতবারই শেষ দেখে ফেলেছিলেন ওয়ার্নার, ফিঞ্চ, স্মিথের মতো তারকাদের। কিন্তু বিশ্বকাপ জিতে সবাইকে ভুল প্রমাণ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্ট সেরা হন ডেভিড ওয়ার্নার। ফলে এবারের বিশ্বকাপে হট ফেবারিট হিসেবেই অংশ নিচ্ছে তারা। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ দল। তবে বড় টুর্নামেন্টগুলোয় তাদের জ্বলে ওঠার সামর্থ্যই দলটিকে সবার থেকে আলাদা করে রাখছে। পাশাপাশি স্বাগতিক হিসেবেও দারুণ সুবিধা পাবে দলটি। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ নড়বড়ে। কিন্তু দারুণ খেলছেন গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের নায়ক ম্যাথু ওয়েড এবং অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাশাপাশি দলের নতুন সদস্য বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান টিম ডেভিড হতে পারেন প্রতিপক্ষের ভয়ের কারণ। বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন স্টার্ক, হ্যাজলউড, জাম্পারা। ফলে নিঃসন্দেহেই এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার অস্ট্রেলিয়া।

বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ভারত

ভারত

২০১৩ সালের পর কোনো আইসিসি ট্রফি জেতেনি ভারত। কিন্তু দারুণ ফর্মের কারণে সব সময়ই ভারত ফেবারিট। বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা দলটি। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে না পারলেও এই টুর্নামেন্টেই প্রায় তিন বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ভারতের জন্য এটা বেশ স্বস্তির ব্যাপার। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের টপ অর্ডারের মূল স্তম্ভ সূর্যকুমার যাদবও আছেন দারুণ ছন্দে। পাশাপাশি রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়াদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপ যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই দুঃস্বপ্নের কারণ হতে পারে। ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও রোহিত শর্মার দলের মূল দুর্বলতা বোলিংয়ে। কিছুদিন আগেই পিঠের চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন দলের সেরা বোলার জসপ্রিত বুমরা। চোটের কারণে দলে নেই অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও। ফলে হার্শাল প্যাটেল, অর্শদ্বীপ সিং, অক্ষর প্যাটেলদের নিয়ে গড়া ভারতের অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপই দলটির চিন্তার মূল কারণ।

বিশ্বকাপে দারুণ কিছুই করার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ড

শিরোপার অন্যতম দাবিদার টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় দল ইংল্যান্ড। এউইন মরগানের অবসরের পর দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন জস বাটলার। দারুণ ফর্মে আছেন  টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি আছেন ডেভিড ম্যালান, বেন স্টোকস, অ্যালেক্স হেলস, লিভিংস্টোন, মঈন আলী। বোলিং লাইনআপে আছেন ক্রিস ওকস, রিস টপলি, আদিল রশিদ ও মার্ক উডদের মতো অভিজ্ঞ বোলার। বিশ্বকাপের ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের মাটিতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় আত্মবিশ্বাস যোগাবে ইংলিশদের। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে দারুণ কিছুই করার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইংল্যান্ড।

বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছে পাকিস্তান

পাকিস্তান

দুর্দান্ত ফর্মে আছে বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে জিতে নিয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা। ফলে বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছে পাকিস্তান। দলের অধিনায়ক বাবর আজম আর উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য। তবে পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা বাকি ব্যাটসম্যানরা। ফর্মে নেই ফখর জামান, আসিফ আলী।

তবে বেশ ভালো খেলছেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। দুর্দান্ত হিটিংয়ের সঙ্গে নাওয়াজের কার্যকর বোলিং বাড়িয়েছে দলের ভারসাম্য। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সব সময়ই ভয়ংকর। ইনজুরি থেকে ফিরে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। হারিস রউফ, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইনের মতো বিধ্বংসী পেসার অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।

বেশ শক্তিশালী একটি দল নিয়েই এবার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে গতবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে কখনোই সেভাবে আলোচনা হয় না। দিন শেষে দেখা যায় তারা ফাইনালে। প্রতিবারের মতোই বেশ শক্তিশালী একটি দল নিয়েই এবার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে গতবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বেশ কিছুদিন ধরে রান পাচ্ছিলেন না। পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিরে পেয়েছেন ফর্ম। যদিও দলকে জেতাতে পারেননি। ফর্মে নেই অভিজ্ঞ ওপেনার মার্টিন গাপটিলও। কিন্তু বড় আসরে সব সময়ই দারুণভাবে ফিরে আসেন ডানহাতি এই ওপেনার। সঙ্গে আছেন ডেভন কনওয়ে, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, ফিন অ্যালেন ও জিমি নিশামের মতো তারকারা। প্রত্যেকেই বিস্ফোরক ইনিংস খেলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন। অভিজ্ঞ ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ইশ সোধি, মিচেল স্যান্টনারদের নিয়ে গড়া নিউজিল্যান্ডের বোলিং লাইনআপ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক হয়ে হাজির হচ্ছেন তাঁরা। ফলে এবারের বিশ্বকাপেও নিউজিল্যান্ড ফাইনাল পর্যন্ত গেলে অবাক হবে না কেউই।

বেশ শক্তিশালী দল নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে দক্ষিন আফ্রিকা

  দক্ষিণ আফ্রিকা

আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোয় চোকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা এবারের বিশ্বকাপে ফেবারিটদের তালিকায় নেই। তবে বেশ শক্তিশালী দল নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে তারা। টেম্বা বাভুমার দলে অভিজ্ঞ ডেভিড মিলার, কুইন্টন ডি কক, কাগিসো রাবাদাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে মার্কো ইয়েনসেন, ত্রিস্তান স্টাবসদের মতো তরুণ খেলোয়াড়েরা। দল হিসেবে বর্তমানে খুব একটা ছন্দে না থাকলেও বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে দারুণ কিছু পারফরম্যান্সই আশা করছে সবাই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে নতুন করে ঢেলে সাজানোর বাংলাদেশ দলকে

বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কখনোই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। গত বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে হেরে বসেছিল স্কটল্যান্ডের কাছে। দুটো ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভে উঠলেও বাজেভাবে হেরেছিল সব কটি ম্যাচেই। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে বলার মতো পারফরম্যান্স বলতে রয়েছে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়। কিন্তু এই দুই সিরিজেই মিরপুরের স্পিনবান্ধব উইকেটের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বিসিবিকে। বর্তমানে টি-টোয়েন্টি দলকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্দেশ্যে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে নুরুল হাসান, ইয়াসির আলী, আফিফ হোসেন, শরীফুল ইসলামদের নিয়ে একটি তরুণ দলকে বিশ্বকাপে পাঠিয়েছে বিসিবি। বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিবের নেতৃত্বে নতুন এই দল জেতার মানসিকতা নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক একটি টুর্নামেন্ট খেলবে, এটিই সবার প্রত্যাশা।

আফগানিস্তান সবচেয়ে শক্তিশালী টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই

আফগানিস্তান

গত এক দশকে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে খুব দ্রুত উন্নতি করা দলগুলোর মধ্যে সবার প্রথমেই থাকবে আফগানিস্তানের নাম। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে সবচেয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি সবচেয়ে শক্তিশালী টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই। বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার রশিদ খান আর প্রতিভাবান অফ স্পিনার মুজিব-উর-রহমান যেকোনো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনেই বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হতে পারেন। ব্যাটিং বিভাগে রহমানুল্লাহ গুরবাজ, হজরতুল্লাহ জাজাই, মোহাম্মদ নবীরা সব সময় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে থাকেন। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানিস্তানের দুর্দান্ত লড়াই-ই বলে দেয় টি-টোয়েন্টিতে তারা কতটা সাবলীল। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছ থেকে জমজমাট কিছু পারফরম্যান্স দেখার প্রত্যাশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

শ্রীলঙ্কার তরুণ এই দল সবাইকে চমকে দিয়ে জয় করে নিয়েছে এশিয়া কাপের শিরোপা

শ্রীলঙ্কা

অনেক দিন ধরেই দল হিসেবে ভুগছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু আস্তে আস্তে ছন্দ ফিরে পাচ্ছে তারা। দাসুন শনাকার নেতৃত্বে কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার তরুণ এই দল সবাইকে চমকে দিয়ে জয় করে নিয়েছে এশিয়া কাপের শিরোপা। চারিত আসালাঙ্কা, ভানুকা রাজাপক্ষে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, লাহিরু কুমারাদের নিয়ে গড়া এই দল এশিয়া কাপ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে। র‌্যাঙ্কিংয়ের নিয়মের জন্য দলটি সরাসরি সুপার টুয়েলভে অংশ নিতে না পারলেও তাদের ছোট করে দেখছে না বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া কোনো দলই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলেও বর্তমানে খুব একটা ছন্দে নেই দলটি। ফলে সরাসরি সুপার টুয়েলভ খেলা হচ্ছে না তাদের। আবার নির্ধারিত সময়ে দলের সঙ্গে যোগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জায়গা হারিয়েছেন ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার। কিন্তু ছন্দে না থাকলেও নিকোলাস পুরানের দলটিতে রয়েছেন রভমান পাওয়েল, জনসন চার্লস, জেসন হোল্ডার, কাইল মেয়ার্সের মতো তরুণ খেলোয়াড়েরা। প্রত্যেকেই বিগ হিটিংয়ের পারদর্শী। ফলে সহজেই প্রথম রাউন্ড উতরে সুপার টুয়েলভে চলে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথমবারের মতো গেইল-ব্রাভোদের ছাড়া বিশ্বকাপ খেলতে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার টুয়েলভে প্রতিপক্ষদের কতটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।