খেলার মাঠে ভ্রাতৃদ্বয়

রাফিনহা আর থিয়াগো
রাফিনহা আর থিয়াগো

একদিন সকালে উঠে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার মাজিনহোর বড় ছেলে থিয়াগো আলকান্তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি ব্রাজিল নয়, স্পেনের হয়ে খেলবেন।

মেনে নিতে পারলেন না বাবা মাজিনহো। নিজে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন আর তাঁর ছেলেই কিনা খেলবেন স্পেনের হয়ে?

কিন্তু কিছু বলারও নেই। বার্সেলোনার বি টিমে দুর্দান্ত খেলে যখন কিশোর থিয়াগো আলো ছড়াচ্ছেন, তখনই তিনি ফোন করেছিলেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনকে। এই মেধাবী কিশোর ফুটবলার যে হয়ে উঠতে পারে ব্রাজিলের যুবদলের সম্পদ, সেটি জানিয়েছিলেন নিজ উদ্যোগে। কিন্তু পাত্তাই দিল না ব্রাজিল ফেডারেশন। ব্রাজিল দলে ঢুকতে হাজার হাজার ফুটবলার অপেক্ষা করছেন। তাঁদের বাদ দিয়ে দেশের বাইরে খেলছে এমন কিশোরদের ব্যাপারে ভাবতে রাজি নয় তারা।
ছোট ছেলেকে অবশ্য এই সুযোগ দিলেন না মাজিনহো। থিয়াগোর থেকে মাত্র দেড় বছর ছোট রাফিনহা ব্রাজিলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্তই নিলেন। নিজেকে গড়লেনও সেই সংকল্পেই। একই দেশে একই ঘরে জন্মেও তাই থিয়াগো ও রাফিনহা তাঁদের ক্যারিয়ারজুড়ে দুটি আলাদা দেশের হয়ে খেলেছেন।

জেরোম ও কেভিন বোয়েটাং
জেরোম ও কেভিন বোয়েটাং

জেরোম আর কেভিন প্রিন্স বোয়েটেংয়ের গল্পটা অবশ্য ভিন্ন। দুজনেই জন্মেছেন একই বাবার ঘরে, কিন্তু বড় হয়েছেন ভিন্ন মায়ের সংসারে। বার্লিনের এক গরিব পাড়ায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন কেভিন। জেরোম অবশ্য সচ্ছল আর্থিক অবস্থার পরিবারেই বড় হয়েছেন। আলাদা পরিবারে বড় হলেও দুই ভাইয়ের মধ্যে জমত বেশ। ক্যারিয়ারও শুরু করেছিলেন একই ক্লাবে, হার্থা বার্লিনের যুবদলে। শুরুতে জার্মানির যুবদলেও খেলেছেন একসঙ্গে।

প্রথম দিকে খেলোয়াড় হিসেবে জেরোমের থেকে মেধাবী ছিলেন কেভিন। কিন্তু জেরোম ছিলেন বেশি পরিশ্রমী। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করতেন কেভিন। জার্মানির যুবদলে খেলার সময়ই ম্যাচের আগের রাতে পার্টি করে দল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেই নিষেধাজ্ঞায় কেভিন এতটাই ক্ষিপ্ত হন যে দেশই পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জার্মানির বদলে বেছে নেন বাবার জন্মভূমি ঘানাকে। এরপর থেকে ঘানার হয়েই খেলেছেন তিনি।
কেভিনের অনিয়ন্ত্রিত আচরণ দুই ভাইয়ের সম্পর্কও নষ্ট করেছে কয়েকবার। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের আগে জার্মানির মাইকেল বালাককে ফাউল করে ভয়াবহ চোটে ফেলেন কেভিন। বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়েন বালাক। এরপরেই নষ্ট হয় তাঁদের সম্পর্ক। ভাইয়ের ব্যাপারে একদমই ভাবতে চান না জেরোম, বিশ্বকাপের আগে এমন মন্তব্যও করেছেন সংবাদ সম্মেলনে।

সেই বিশ্বকাপেই জার্মানি ও ঘানার দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাময় ম্যাচে একে অন্যের বিরুদ্ধে মাঠেও নেমেছেন তাঁরা। দুই ভাই হাত না মিলিয়ে মাঠ থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন—এই দৃশ্য সেই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোড়ন তোলা ঘটনাগুলোর একটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য তাঁদের সম্পর্কও ঠিক হয়েছে। কেভিনের ইনস্টাগ্রামে এখন ভাইয়ের সঙ্গে ভিডিও কলের স্ক্রিনশট দেখা যায় প্রায়ই।

ক্রিকেটের ভ্রাতৃদ্বয়ের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত দুই জুটিই খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। গ্রেগ চ্যাপেল-ইয়ান চ্যাপেল এবং স্টিভ ওয়াহ-মার্ক ওয়াহ, দুই ভ্রাতৃদ্বয়ই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন ওতপ্রোতভাবে। তবে এই দুই জুটির মধ্যে নিঃসন্দেহে স্টিভ ও মার্ক ওয়াহ ভ্রাতৃদ্বয় হিসেবে একসঙ্গে বেশি সফল। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন এই যমজ। প্রায় দেড় যুগ ধরে দুজন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দুই নাম।

তবে স্টিভ ও মার্ক শুধু তাঁদের অবদানের জন্য আলোচিত নন। যমজ হয়েও ক্রিকেটের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আলাদা, কিন্তু দুজন যেন ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক। স্টিভ ওয়াহ ক্রিকেটকে জীবন বানিয়ে ফেলেছিলেন। ক্রিকেট তাঁর ভাবনাকে আচ্ছন্ন করে রাখত। ক্রিকেটকে বুঝতে তিনি ক্রিকেটের ইতিহাস পড়তেন। যেন এটি স্পোর্টস নয়, ফিজিকসের কোনো থিসিসের গবেষণা। সম্ভবত এই কারণেই তিনি যত না একজন ক্রিকেটার, তার থেকে একজন অধিনায়ক হিসেবে বেশি জনপ্রিয় হয়ে আছেন। মার্ক বরং খামখেয়ালি, তাঁর কাছে ক্রিকেট একটি উৎসবের মতো। ক্রিকেটও সেভাবেই খেলতেন। স্টিভের কাছে ক্রিকেট যদি কোনো যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে থাকে, মার্কের কাছে সেটা বরং কোনো ছন্দময় কবিতার নাম। স্টিভ সৈনিক হলে মার্ক কবি।

মার্ক ওয়াহ ও স্টিভ ওয়াহ
মার্ক ওয়াহ ও স্টিভ ওয়াহ

তাঁদের শুরুটা নিয়ে একটি মজার গল্প আছে। অস্ট্রেলিয়া দলে স্টিভের অভিষেক তত দিনে হয়ে গেছে। মার্ক দলে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায়। একদিন বাসায় ফিরে স্টিভ জানালেন, মার্ক দলে সুযোগ পেয়েছেন। কার বদলে সুযোগ পেয়েছেন, সে প্রশ্ন করতেই স্টিভ জানালেন, ‘আমার বদলে!’ দুজনেই পরে নানা ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন, সে ঘটনার পর অনেক কেঁদেছিলেন তাঁদের মা। হয়তো ভেবেছিলেন দলে জায়গা পাওয়ার অনিশ্চিত সেই সময়ে দুই ভাই কখনোই খেলতে পারবেন না একসঙ্গে। দুই ভাই এরপর ১০০ ওয়ানডের বেশি ম্যাচ একসঙ্গে খেলে সেই আক্ষেপকে কৌতুকই বানিয়ে ছেড়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার আরেক গুরুত্বপূর্ণ দুই ভাই চ্যাপেলরা অবশ্য এত দিন একসঙ্গে খেলেননি। বড় ভাই ইয়ান চ্যাপেলের ক্যারিয়ারের শেষার্ধ এবং গ্রেগ চ্যাপেলের ক্যারিয়ারের প্রথমটা মিলে গিয়েছিল। গ্রেগ দলে সুযোগ পাওয়ার আগেই ইয়ান চ্যাপেল অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেটার। গ্রেগ দলে নিয়মিত হওয়ার পর ব্যাটিং অর্ডারের ৩ আর ৪ নম্বর জায়গাটা দুই চ্যাপেল ভাইয়ের জন্য বরাদ্দ হয়ে গিয়েছিল।

যেই ৪৩টি ম্যাচ তাঁরা একসঙ্গে খেলেছেন, দুই ভাই মিলে করেছেন সাত হাজারের বেশি রান। দুজনের সম্মিলিত গড় ৫২.১০। ১৯৭২ সালে ওভালে দুই ভাই হিসেবে প্রথমবারের একই টেস্টের একই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন দুই ভাই। প্রথম রেকর্ডটি এরপর স্টিভ ও মার্ক ওয়াহও করেছেন। ২০১৭ সালে তা করেছেন শন ও মিচেল মার্শও। কিন্তু একই টেস্টের দুই ইনিংসেই দুই ভাই একসঙ্গে সেঞ্চুরি করেছেন—এই রেকর্ড এখনো শুধু চ্যাপেল ভ্রাতৃদ্বয়েরই এবং সম্ভবত আরও অনেক দিন তা–ই থাকবে।

ইয়ান চ্যাপেল ও গ্রেগ চ্যাপেল
ইয়ান চ্যাপেল ও গ্রেগ চ্যাপেল

শুধু এই দুই ভাই নন, চ্যাপেল পরিবারের সংস্কৃতি প্রায় তিন জেনারেশন ধরে জড়িয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সঙ্গে। ডন ব্র্যাডম্যানের সময়ে যে কজন ক্রিকেটার তাঁর ছায়া থেকে বেরিয়ে আলাদা পরিচয় দাঁড় করাতে পেরেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম গ্রেগ-ইয়ানের দাদা রিচার্ডসন। তিনি শুধু ক্রিকেটার হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন না, বেসবল, গলফ এবং টেনিসেও অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। ডন ব্র্যাডম্যানের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার পেছনে যতটা কৃতিত্ব আছে তাঁর ক্রিকেটের, ঠিক ততটাই অবদান আছে তাঁর চরিত্রের। ডন ব্র্যাডম্যান ক্রিকেটকে যেই পবিত্র রূপে দেখার চেষ্টা করতেন, সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে কখনোই ধাতস্থ করতে পারেননি রিচার্ডসন। তাঁর কাছে খেলা সব সময় খেলাই ছিল, এখানে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েই জেতার চিন্তা করতেন তিনি। এ নিয়ে অনেকবার রিচার্ডসন ও ব্র্যাডম্যানের ঝামেলাও হয়েছে, এ কথা লোকমুখে শোনা যায়।

ঠিক একই মানসিকতা পেয়েছিলেন ইয়ান ও গ্রেগ দুজনেই। স্টিভ ও মার্ক ওয়াহ যেমন ক্রিকেট নিয়ে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত, তাঁরা তা নন; বরং দুজনেই ছিলেন একই ধাঁচে গড়া। নিজেদের সময়ে স্লেজিংয়ের সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছিলেন। যেহেতু অধিনায়ক ছিলেন, তাই পুরো দলকেই তা করতে উৎসাহ দিতেন। গ্রেগ চ্যাপেলের সময় তো অস্ট্রেলিয়ার নামই হয়ে গিয়েছিল ‘দ্য ডার্টি অজিস’। ঠিক সে সময়ই অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ব্র্যাডম্যান, ফলে দাদার পরে নাতির সঙ্গেও অনেকবার ঝামেলা হয়েছে তাঁর।

চ্যাপেলরা ছোটবেলা থেকেই আসলে এভাবেই বড় হয়েছেন। শৈশব থেকেই ক্রিকেট তাঁদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন বিকেলে বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলতেন দুই ভাই, সঙ্গে থাকতেন আরেক ছোট ভাই ট্রেভর চ্যাপেলও। ছোটদের এই খেলা উৎসবের আমেজ ছড়াত বড়দের মধ্যেও। ইয়ান আর গ্রেগের ম্যাচে আম্পায়ারিং করতেন তাঁদের মা জিন এবং গ্রেগ ছোট বলে প্রায়ই মায়ের সিদ্ধান্ত যেত গ্রেগের পক্ষে। ইয়ানও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। কোনো সিদ্ধান্ত তাঁর পক্ষে না এলে পরের বলেই বাউন্সার দিয়ে আঘাত হানতেন গ্রেগের শরীরে। একবার গ্লাভস ছাড়া খেলার সময়ে গ্রেগের আঙুলে এসে লাগে ইয়ানের তীব্র গতির বল। গ্রেগ ব্যথায় চিৎকার করে উঠলে ইয়ান কাছে গিয়ে বলেন, ‘টেনশন করিস না, এবার আঙুলে লেগেছে, পরেরবার মাথায় লাগবে।’

দুই ভাইয়ের পরে ট্রেভর চ্যাপেলও অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। এই ট্রেভরকে নিয়েই তৈরি হয়েছিল চ্যাপেল পরিবারের সবচেয়ে বড় বিতর্ক। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তখন সমতা। শেষ ওয়ানডের শেষ বলে ছয় রান প্রয়োজন, স্ট্রাইকে সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ব্রায়ান ম্যাককিনি। ম্যাচ বাঁচানোর বিশাল চাপ মাথায় নিয়ে গ্রেগ চ্যাপেল ছোট ভাই ট্রেভরকে পরের বলটা আন্ডারআর্ম করতে বলে বসলেন এবং ট্রেভর করলেনও। আন্ডারআর্ম বোলিং তখনো ক্রিকেটে নিষিদ্ধ নয়, তবে ক্রিকেটীয় স্পিরিটের ঘোর পরিপন্থী বলে মানা হতো এটিকে।

চ্যানেল নাইনের হয়ে তখন ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন তাঁদেরই বড় ভাই ইয়ান চ্যাপেল। ট্রেভরকে আন্ডারআর্ম বল করতে দেখে তখনই চিৎকার করে উঠেন, ‘না না গ্রেগ, তুমি এটা করতে পারো না!’ ঘটনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ছোট দুই ভাইয়ের মুণ্ডুপাত করেছেন নানা জায়গায়। এরপরেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘চ্যাপেল পরিবারের ঐতিহ্য ট্রেভর রাস্তায় বসাল।’ গ্রেগও পরে দোষ স্বীকার করে নিয়ে নানা জায়গায় ক্ষমা চেয়েছেন।

এই ঘটনা থেকে আসলে কিছুটা বোঝা যায় ক্রিকেট নিয়ে চ্যাপেল পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গি। ক্রিকেটীয় স্পিরিট মেনে চলায় তাঁদের আসলে কোনো আপত্তি ছিল না কোনো সময়েই। খেলাটাকে তাঁরা খেলা হিসেবেই দেখতেন, মনে করতেন এখানে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেই জয় প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়েই আনতে হবে, সেটা মানসিকভাবেই হোক কিংবা শারীরিকভাবে। তাই তাঁদের কাছে স্লেজিং ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী ছিল না কখনোই।

ইউসুফ পাঠান ও ইরফান পাঠান
ইউসুফ পাঠান ও ইরফান পাঠান

ইউসুফ ও ইরফান পাঠানের একটা মজার গল্প দিয়ে শেষ করা যাক। তাঁদের ছোটবেলার ব্যাপারে জানতে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক সাংবাদিক একবার গিয়েছিলেন তাঁদের বাসায়। অবাক হয়ে লক্ষ করলেন, হাতের গৃহকার্য শেষ করতে করতে ইরফান গুনগুনিয়ে বলে যাচ্ছেন, ‘জিতেছি! জিতেছি!’ জানা গেল, দুই দিন আগে উঠানের নেটে ব্যাটিং করার সময় ইউসুফকে আউটসাইড অব থেকে একটি ইনসুইংগারে বোল্ড করেছেন তিনি। সেটা নিয়েই এত আনন্দ। দুজনেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু এখনো নিজেদের মধ্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এতটাই আচ্ছন্ন করে রাখে তাঁদের!

ভাগ্যিস খেলার মাঠে ভাইয়েরা একসঙ্গে খেলেছেন, নাহলে এত দারুণ সব গল্পের অভাব পূরণ করতেন কে?