ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা: ইতিহাস যা বলে

দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। ইতিহাসে কে কবে কাকে হারিয়েছিল, সেসব টেনে শুরু হয়েছে কথার লড়াই। সুপার ক্ল্যাসিকো বলে খ্যাত এ দুদলের মহারণের ইতিহাসটা তাই একবার দেখে নেওয়া যাক।

২০০৭ সালের পর এবারই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে সেলেকাও ও আলবিসেলেস্তেরা। কোপা আমেরিকার ২০০৭ আসরে অবশ্য জিতেছিল ব্রাজিল। কাকা, রোনালদিনহোবিহীন ব্রাজিল ৩-০ গোলে রিকুয়েলমে, মেসির শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। আবারও শিরোপার লড়াইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে এই ইতিহাস অনুপ্রাণিত করবে নেইমারদের।

(বাঁয়ে) ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর্জেন্টিনা দল। (ডানে) ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা হাতে ব্রাজিল।

ফাইনালের হিসাব বাদ দিলে, সর্বশেষ কোপা আমেরিকার আসরেও অবশ্য ব্রাজিলেরই জয়। ২০১৯-এর সেমিফাইনালে গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও ফিরমিনোর গোলে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারায় তারা।

তবে কোপা আমেরিকার সর্বকালের ইতিহাস আবার আর্জেন্টিনার পক্ষে। মহাদেশীয় এ প্রতিযোগিতায় মোট ৩৩ বার মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দল। যার মধ্যে আর্জেন্টিনার জয় ১৫টি কিন্তু ব্রাজিলের জয় ১০টি, বাকি ৮টি ম্যাচ ড্র হিসেবে শেষ হয়েছে।

এমনকি কোপা আমেরিকার শিরোপার হিসাবেও এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ১৪ বার মহাদেশীয় সেরার মুকুট পরেছে তারা, যেখানে ব্রাজিলের এ অর্জন মাত্র ৯ বার। তবে আর্জেন্টিনার সেসব অর্জন সুদূর অতীতের, কেননা তাদের সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জয় ১৯৯৩ সালে। অন্যদিকে ব্রাজিল এ প্রতিযোগিতার সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন।

দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ ১০ ম্যাচের পরিসংখ্যান অবশ্য ব্রাজিলের দিকে। পাঁচবার সুপার ক্ল্যাসিকো জিতেছে তারা, আর্জেন্টিনা জিতেছে চারবার। বাকি একটি ম্যাচ শেষ হয়েছে ড্রয়ের মাধ্যমে।

কাকা, রোনালদিনহোবিহীন ব্রাজিল ৩-০ গোলে রিকুয়েলমে, মেসির শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল।

তবে রেকর্ড যা–ই বলুক না কেন, এবার দুই দলই রয়েছে বর্তমান টুর্নামেন্টের সেরা ফর্মে। দুটি দলই অপরাজিত হিসেবে টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছেছে। ফাইনালে ওঠার পথে দুটি দলই মাত্র একটি করে ম্যাচ ড্র করেছে। এবারের আসরে ব্রাজিলের গোল ১২টি। আর্জেন্টিনাও তেমন পিছিয়ে নেই, তাদের গোলসংখ্যা ১১। আবার ব্রাজিলের দুটি গোল হজমের বিপরীতে আর্জেন্টিনা হজম করেছে তিনটি গোল। এসব পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করছে জমজমাট এক লড়াইয়ের। তাই মারাকানার ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর সেই লড়াই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন অগণিত ফুটবলপ্রেমী।