স্ট্রবেরিগাছের স্মৃতি

অলংকরণ: আপন জোয়ার্দার

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের কথা। আম্মু একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে একটা স্ট্রবেরিগাছ নিয়ে এল। সেটাতে আবার পুঁচকে পুঁচকে দুটি স্ট্রবেরিও আছে। ওই গাছ দেখে আমার খুশি দেখে কে? একটা মাটির হাঁড়িতে মাটি ভরে ওটাকে রোপণ করে দিলাম। গাছটার স্থান হলো আমার রুমের বারান্দায়। আমি ওটার অনেক যত্ন নিলাম। রোজ গাছটায় পানি দিতাম। একটু একটু করে গাছটা বাড়তে লাগল। আরও অনেক স্ট্রবেরি হলো। সব কটিই কাঁচা, সাদা রঙের। একদিন স্কুল থেকে এসে দেখি, কে যেন কয়েকটা স্ট্রবেরি খেয়ে ফেলেছে। আমার নানু বলল, আমার ছোট ভাই আয়ান খেয়েছে। আমার অনেক মন খারাপ হলো। আয়ানকে ডেকে খুব বকুনি দিলাম। আমার চোখে পানি চলে আসছিল। অবশ্য তখনো গাছে অনেক স্ট্রবেরি ছিল। এরপর আয়ান আমার ভয়ে আর স্ট্রবেরি খেতে সাহস করেনি। গাছটা ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত জীবিত ছিল। আমরা সবাই আমার নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন গাছটার যত্ন নেওয়ার কেউ ছিল না। নানুর বাড়ি থেকে ফিরে আসার পর দেখি, পানি না পেয়ে গাছটা শুকিয়ে মারা গেছে। আমার অনেক মন খারাপ হয়েছিল। এখন আমার বারান্দা ছোটখাটো একটা বাগানে পরিণত হয়েছে। কয়েকটা স্ট্রবেরিগাছও আছে। কিন্তু ওই গাছের কথা আমি কখনো ভুলব না।