কিআ তুমি মোটা হও না কেন?

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

আসলেই তুমি খুব দুষ্টু হয়ে উঠে গেছো। খাবার (চিঠি) পাঠালে এত বাছাবাছি করো কেন? টিফিনকারিটা (ম্যাগাজিন) যখন আমার কাছে আসে, তখন দেখি, তুমি আমার খাবার (চিঠি) খাওনি। সবাই বলে তুমি মোটা হও না কেন? আবার কেউ বলে পুষ্টিবিদকে দেখাতে। এখন আমি বুঝতে পারছি, তুমি কেন মোটা হও না। আসলে খুব বাছাবাছি করো তুমি। এইটা বন্ধ করো। খাবার (চিঠি) খেতে হবে কিন্তু।

দুষ্টু কিআ,
মিষ্টি কিআ,
তুমি নাকি ভালো কিআ!
বিশ্বাস হয় না যে আমার
তাই লিখলাম চিঠিখানা।

ছড়াটা আমি নিজে লিখেছি। খুব ভালো লিখতে পারিনি। এখন বাই বাই। ভালো থেকো।

মিফতাহুল রাহমিম
তৃতীয় শ্রেণি, শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ, ঢাকা

কিআ:

অক্টোবরে আবার
খাবো অনেক খাবার
আশা রইল ভাবার
সময় এখন যাবার।

আমিও একটা ছড়া লিখলাম। তোমারটার মতো ভালো হয়নি। এখন বাই বাই। তুমিও ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

কীভাবে শুরু করব বুঝতে পারছি না। এই প্রথম তোমাকে কিছু লিখে পাঠাচ্ছি। আমি কিন্তু তোমার নতুন বন্ধু। আসলে তোমাকে আগে তেমন করে জানা হয়নি। তোমার জন্মদিনে আমার বন্ধু (স্নিগ্ধা) আমাকে আর আমার আরেক বন্ধুকে (রাইসা) তোমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সেই থেকে আমরা তোমার নিয়মিত পাঠিকা হবো বলে সিদ্ধান্ত নিই। এখন অবশ্য তোমার বন্ধু হয়ে গেলাম। জানি তোমার কোনো উত্তর পাব না। তবুও পাঠালাম। আর হ্যাঁ! যদিও পরিচয় বেশি দিনের না, তবুও তোমার গল্প আর কমিকসগুলো আমাদের অন্তর ভেদ করে কলিজায় প্রবেশ করে। ভালো থেকো। নিজে আলোকিত হয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করতে ভুলো না কিন্তু।

মেহনুর মায়িশা
অষ্টম শ্রেণি, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

কিআ: তোমার বন্ধু স্নিগ্ধাকে স্নিগ্ধ ফুলের শুভেচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে কিআর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। তুমি আর রাইসা মিলে ওকে আমার পক্ষ থেকে ট্রিট দিয়ো। তোমাদের তিন বন্ধুর জন্য অনেক শুভকামনা। ভালো থেকো তোমরা।

 প্রিয় কিআ,

জানো, আমি তোমার প্রথম সংখ্যা থেকেই পাঠক হতে পেরেছিলাম। যেদিন তোমাকে হকার আঙ্কেল প্রথম আমাদের বাসায় দিয়ে যায়, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ হকার আঙ্কেলকেই। কারণ, তাঁর জন্যই আমি তোমার কথা জানতে পেরেছিলাম। হতে পেরেছিলাম তোমার পাঠক। তোমাকে পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। আর তোমার মধ্যে থাকা ‘আমরা সবাই রাজা’ বিভাগটা কিন্তু আমার অনেক প্রিয়। অক্টোবর সংখ্যায় বিভাগটা না দেখে তো আমি ভেবেছিলাম তুমি বন্ধ করে দিয়েছ। কিন্তু নভেম্বর সংখ্যায় আবার চালু করেছ, সে জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাবছি, আমিও লেখা পাঠাব। ছাপালে খুব খুশি হব। আর তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর সংখ্যা ছাপানোর জন্য। আর একটা অনুরোধ, কিআর সব সংখ্যায় পাঁচটা করে গল্প দিলে কিন্তু ভালো হয়। আর একটা কথা, সব সংখ্যায় গণিতের ধাঁধাগুলো এত কঠিন দাও কেন, একটু সোজা করে দিয়ো আগামী সংখ্যা থেকে। ভালো থেকো।

আইরিশ রহমান
স্টারলিট স্কুল অব ইংলিশ, ঢাকা

কিআ: খুব খুশি হলাম তোমার চিঠি পেয়ে। আসলে প্রতিমাসে অনেক কষ্ট করে তোমাদের কাছে কিআ পৌঁছে দেন হকার আঙ্কেলরা। সব সময় তাঁদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়ে ওঠে না। তোমার সৌজন্যে সব কিআ পাঠকের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য ধন্যবাদ। আর তুমি ‘আমরা সবাই রাজা’ বিভাগের জন্য লেখা পাঠানো শুরু করো। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

বিড়াল আমার বরাবরই প্রিয়। তুমি কতটুকু বিড়াল পছন্দ করো, তা আমার জানা নেই। আমাদের প্রতিবেশীর বিড়াল প্রায়ই আমাদের বাসায় এসে চুরি করে মাছ খায়। তাই আমার একটা বিড়াল পোষার খুব শখ। যেন আমিও আমার বিড়াল দিয়ে ওদের মাছ চুরি করে খাওয়াতে পারি। তাই তোমার কাছে বিড়াল নিয়ে একটা সংখ্যা বের করার আবদার জানাচ্ছি। সেই সংখ্যায় থাকতে হবে কিউট কিউট বিড়ালের ছবি। বিড়াল নিয়ে গল্প আর কীভাবে বিড়াল পুষতে হয় এসব।

মো. তাহসিনুর রহমান
দশম শ্রেণি, মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

কিআ: উত্তম প্রস্তাব। বিড়াল নিয়ে সংখ্যা হবে। ম্যাও।

প্রিয় কিআ,

আশা করি ভালোই আছো। আমি ভালো নেই। এ নিয়ে চারবার তোমাকে চিঠি দিয়েছি। একবারও ছাপাওনি। কোথায় রাখব এত কষ্ট। তাই ভাবলাম শীত যেহেতু এসেই গেছে, তাই কাঁথা-কম্বল নামিয়ে আমার কষ্ট আলমারিতেই লুকিয়ে রাখব। ভালো থেকো। আর মাঝেমধ্যে একটু মোটা হলে মন্দ হয় না।

সাবরিনা তাবাসসুম
একাদশ শ্রেণি, ভোলা সরকারি কলেজ, ভোলা

কিআ: চিঠি তো ছাপা হয়ে গেল। আশা করি তোমার কষ্ট আর লুকিয়ে রাখতে হবে না। কষ্টের দিন শেষ, হাসিখুশির বাংলাদেশ। এদিকে ‘যাক, আমার ভেতরে আর নতুন করে কষ্ট আসছে না’— এই ভেবে বোধহয় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল তোমার আলমারি। ভালো থেকো তুমি।

প্রিয় কিআ,

ইদানীং তো পড়ালেখার খুব চাপ, তাই তোমাকে তেমন চিঠি লেখা হয় না। মনে আছে, সেই ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তোমাকে ব্যাঙ নিয়ে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম? তুমি কথা দিয়েছিলে, ব্যাঙ নিয়ে লেখা ছাপাবে। এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি! আমি ব্যাঙ নিয়ে কমিকস পাঠাব। তুমি শুধু বলে দাও কীভাবে কমিকস পাঠাতে হয়। ভালো থেকো।

জারীব আলম
দ্বিতীয় শ্রেণি ,আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ঢাকা

কিআ: হ্যাঁ, মনে আছে। কমিকস পাঠাবে শুনে তো এখনই পড়তে ইচ্ছে করছে। পাঠানোর নিয়ম কিন্তু খুবই সহজ। চিঠি যেভাবে পাঠিয়েছ, সেভাবেই। ডাকে পাঠাতে চাইলে খুব পরিষ্কার করে কমিকসটা এঁকে পাঠিয়ে দেবে। আর ইমেইলে পাঠাতে চাইলে স্পষ্টভাবে স্ক্যান করে পাঠাবে। সঙ্গে অবশ্যই পাঠাবে তোমার নাম, ঠিকানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, মোবাইল নম্বর। বুঝতে পেরেছ?

প্রিয় কিআ,

‘লাখ টাকার কুইজ’-এ আমিও অংশগ্রহণ করেছিলাম। চিঠি পাঠাচ্ছি এই প্রথম। পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখি, অনেক মানুষ। আমি মনে মনে ভাবলাম, এখনো এত মানুষ চিঠি পাঠায়! বেশির ভাগই অবশ্য সরকারি চিঠি। তারপর আমি ডাকটিকিট লাগিয়ে ডাকবাক্সে ফেললাম। অভিজ্ঞতাটা ভালোই ছিল। কিন্তু আমি তো আর এত ভাগ্যবান নই যে লটারিতে আমার নাম উঠবে কিংবা তুমি আমার চিঠি ছাপবে। আচ্ছা, তুমি চশমা সংখ্যা কখন ছাপবে? আমি আর আমার দিদি অপেক্ষায় আছি। তাড়াতাড়ি করো। ভালো থেকো।

অরুণিমা সাহা
১০ম শ্রেণি, সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

কিআ: চশমা সংখ্যা তো করব। আগে তো সব লেখা পড়তে হবে। তোমরা এত লেখা পাঠিয়েছ, পড়ে শেষ করতে পারছি না। এদিকে আমার চমশাটাও কোথায় যে রেখেছি...চিন্তা করো না। খুব দ্রুতই চলে আসবে চশমা সংখ্যা। তোমার চিঠি–ভাগ্য কিন্তু খারাপ না। ভালো থেকো।