কাপ না কফি

কিশোর আলোর মে সংখ্যার প্রচ্ছদ
অলংকরণ: তুলি

একদিন একজন অধ্যাপক তাঁর ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে ডাকলেন কফি খাওয়াবেন বলে। শিক্ষার্থীরা তাঁর বাড়িতে এলেন। তিনি সবার জন্য কফি আনলেন ট্রেতে করে। তবে কাপগুলো একেকটা একেক রকম। কোনো কাপ খুব সুন্দর। কোনো কাপ খুব দামি। কোনো কাপ হাতলভাঙা। কোনো কাপ বাঁকা। কোনো কাপ দেখতে সস্তা।

অধ্যাপক ট্রে রাখলেন। শিক্ষার্থীরা একে একে সবাই একটা করে কাপ হাতে নিলেন। দেখা গেল, সুন্দর আর দামি কাপগুলো হাতে হাতে চলে গেছে। কম দামি বা অসুন্দর কাপগুলো পড়ে আছে।

অধ্যাপক বললেন, তোমরা নেওয়ার সময় ভালো কাপ বেছে নিয়েছ। এ থেকে কী শিক্ষা পেলাম?

কফিটা হলো জীবন। কাপটা হলো আমাদের পেশা, পদবী, সামাজিক মর্যাদা। তোমরা কাপের দিকে নজর দিও না। কফির দিকে দাও। কারণ, যে কাপগুলো পড়ে আছে, ভালো কফি আমি ঢেলেছিলাম সেই কাপগুলোতেই। কাজেই জীবন উপভোগ করো, জীবিকাকে বড় করে তুলো না।

এই গল্প আমি পেলাম ইন্টারনেটে। তারপর নিজে খানিকটা বদলে নিলাম। আমরা বলব, কফিটাই মানুষ পান করে, কাপ নয়। তা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা যে ভালো কাপগুলোই হাতে তুলে নিল, তা থেকে আমাদের আরও একটা উপদেশ আছে। আমাদের কফিও ভালো চাই, কাপও ভালো চাই। যদি যেকোনো একটা বাছতে হয়, তাহলে আমরা কফিই ভালো বাছব। কিন্তু এমন যদি হতো, কফি খাওয়ার পর কাপটা বাড়ি নিয়ে যেতে হবে, তাহলে কিন্তু ভালো কাপওয়ালারাই জিতত। কাজেই আমাদের জীবনটাকে উপভোগ করতে জানতে হবে, আবার জীবিকাটাও ভালো বাছাই করতে হবে।

জীবন অমূল্য, জীবিকা মূল্যহীন নয়।