অবান্তর আড্ডা

অবান্তর ব্যান্ড
অবান্তর ব্যান্ড


কিশোর আলো সভাকক্ষে প্রবেশ করলেন পাঁচ ‘অবান্তর’ সদস্য। না, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আসলে তাঁরা অবান্তর কেউ নন, তাঁরা গানের লোক। ‘অবান্তর’ নামের ব্যান্ডের পাঁচ সদস্য। ব্যান্ডের নাম শুনে স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, কেন এই অদ্ভুত নাম? ব্যান্ডের ভোকাল নূর জানালেন, এই পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুকেই অবান্তর হিসেবে দেখা হয়, যার প্রয়োজনীয়তা সমাজে নেহাত কম নয়। অথচ অবান্তর হিসেবে আমরা তা উড়িয়ে দিই। সেই ‘অবান্তর’ শব্দটিকেই নাম হিসেবে নিয়েছেন তাঁরা।
লিখছিলাম ১৫ ফেব্রুয়ারি কিআড্ডায় আসা ব্যান্ডের কথা। লিপ ইয়ারের ফেব্রুয়ারির আড্ডা শুরু হয় কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলমের সঞ্চালনায়। আড্ডার শুরুর দিকে সদস্য তাকিয়া রশিদ আবৃত্তি করে শোনায়। আড্ডায় এবারই প্রথম আসা চতুর্থ শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর আবৃত্তি শুনে মুগ্ধ হয় উপস্থিত সবাই। আড্ডা চলতে চলতেই সভাকক্ষে যোগ দেন কিআ সম্পাদক আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘তোমরা বেশি বেশি করে বই পড়বে। বই আমাদের মনুষ্যত্ব টিকিয়ে রাখতে
ভূমিকা রাখে।’

প্রশ্ন করছে এক স্বেচ্ছাসেবক
প্রশ্ন করছে এক স্বেচ্ছাসেবক


আর তার পরপরই আসেন ‘অবান্তর’ ব্যান্ডের সদস্যরা। পরবর্তী এক ঘণ্টা তাদের গানে বুঁদ হয়ে থাকে সবাই। ‘ধিতাং ধিতাং বলে’, ‘ঘোর’, ‘বেনিমাধব’ গানগুলো ছিল তাঁদের পরিবেশনায়। সভার শেষদিকে মহিতুল আলমের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। কেক আর নিউজিল্যান্ড ডেইরির সৌজন্যে দেওয়া চিপস খেতে খেতে সভাকক্ষ ত্যাগ করে সবাই।