অস্ট্রেলিয়ান ওপেন: নীল কোর্টের আভিজাত্য

২৯ জানুয়ারি, ২০১২। রড লেভার অ্যারেনায় মাঠে নামছেন নোভাক জোকোভিচ ও রাফায়েল নাদাল। নিজেদের গ্র্যান্ড স্লামসংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ দুজনের সামনেই । কিন্তু কেউই জানতেন না, ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন তাঁরা। শুধু নিজেদের নয়, বরং পুরো টেনিস ইতিহাস যা দেখেনি, তা–ই করে দেখালেন। পাক্কা ৫ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটের ফাইনাল শেষে রাফায়েল নাদালের পাশ কাটিয়ে যখন ম্যাচের শেষ শট বাইরে চলে যাচ্ছিল, ততক্ষণে রেকর্ড বুকে দুজনেই নিজেদের নাম লিখে ফেলেছেন। পুরস্কার বিতরণীর সময় দাঁড়িয়ে থাকার শক্তিও ছিল না দুজনের। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সর্বোচ্চ কী হতে পারে, তার একটা প্রদর্শনী ছিল সেই ম্যাচ। ‘দ্য হ্যাপি স্লাম’ সেদিন টেনিস সমর্থকদের হ্যাপি করে দিয়েছিল। হেরে গিয়েও যেন নাদাল সেদিন টেনিসের প্রতিটি দর্শককে আনন্দস্রোতে ভাসিয়েছিলেন।

ব্যক্তিগত খেলাগুলোর মধ্যে টেনিস ব্যাপক জনপ্রিয়। অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, হাইজাম্প, লংজাম্পের মতো ব্যক্তিগত খেলা অলিম্পিকের বাইরে খুব একটা আলোচিত হয় না। কিন্তু টেনিস এমন এক খেলা, যার জনপ্রিয়তা অলিম্পিকের বাইরেও সমান।

চারটি গ্র্যান্ড স্লাম নিয়ে টেনিসের মূল স্তম্ভ। ‘গ্র্যান্ড স্লাম’ কথাটি এসেছে মূলত তাস খেলা থেকে। আগের যুগে তাস খেলার সব কটি ট্রিক জিতলেই তাকে ‘স্লাম’ বলা হতো। যদিও সেটা ছিল ‘রিস্ট ফ্যামিলি কার্ড গেম’-এর নিয়ম। যেটা এখন আর প্রচলিত নয়। তবে ‘স্লাম’ কথাটি মুখে মুখে টেনিসে এসেছে গলফ থেকে। গলফে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত চারটি মেজর টুর্নামেন্ট জিতলে সেই বিজয়ীকে বলা হতো ‘গ্র্যান্ড স্লাম উইনার’। ১৯৩৮ সালে আমেরিকান টেনিস তারকা ডন বাজ টেনিসের চারটি মেজর টুর্নামেন্ট জিতলে তাঁকে ভূষিত করা হয় গ্র্যান্ড স্লাম উইনার হিসেবে। এরপর টেনিসের এই মূল চারটি মেজর টুর্নামেন্টের নামকরণ করা হয় গ্র্যান্ড স্লাম হিসেবে।

আর বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম হিসেবেই নাম আসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের। প্রতিবছরের একদম শুরুতে দক্ষিণ-পূর্বের দ্বীপরাজ্যে ভেড়ে সবাই, বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের স্বাদ নিতে। প্রতিবছর জানুয়ারিতেই অবশ্য এই টুর্নামেন্টের পাক চুকে যায়, কিন্তু গত বছরের করোনার আক্রমণ সবকিছুতেই ভজকট পাকিয়ে দিয়েছে। তাই টুর্নামেন্টের সময়ও বদলে চলে এসেছে দুই সপ্তাহ পর। প্রতিটি খেলোয়াড়কে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হতে সময় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ইতিহাসটা থেকে ঘুরে আসা যাক।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শুরু হয়েছে ১১৬ বছর আগে ১৯০৫ সালে। আর এ বছর ১০৯তম বারের মতো বসছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। ১১৬ বছরের আগের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আর বর্তমানে ওপেনের মধ্যে তুলনা করা অর্থহীন। তবে পথপরিক্রমায় বদলেছে এই গ্র্যান্ড স্লামের সবকিছুই।

তবে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রাজত্ব একজনেরই—জোকার। এই নামেই পরিচিত সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ।
বর্তমানের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নীল হার্ড কোর্টের গ্র্যান্ড স্লাম। কিন্তু শুরুতে নীল কোর্ট তো দূরে থাক হার্ড কোর্টই ছিল না।

১৯০৫ সালে যখন টেনিস টুর্নামেন্টের সূচনা হয়, তখন এর নাম ছিল ‘অস্ট্রেলেশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপস’। শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এশিয়াকে এভাবে বাদ দিতে চায়নি তারা। তাই নামের মধ্যে এশিয়াকেও যুক্ত রেখেছিল। কিন্তু ১৯২৭ সালে এসে অবশেষে নাম পাল্টায় তারা। এশিয়াকে ফেলে দিয়ে ‘অস্ট্রেলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ’ নামে থিতু হয় টেনিস টুর্নামেন্টটি। ১৯২৪ সালে মেজর টুর্নামেন্ট স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই মূলত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রদবদল শুরু হতে থাকে। সে সময়ই প্রথম টেনিসের চারটি মূল স্তম্ভ, চারটি গ্র্যান্ড স্লাম ঠিক করে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের বড় পরিবর্তন আসে ১৯৬৮ সালে ওপেন যুগ শুরু হওয়ার পর। ওপেন যুগ শুরু হওয়ার পরই ‘অস্ট্রেলিয়ান ওপেন’ নাম ধারণ করে। পুরো টেনিসজগতের সঙ্গে সঙ্গে এই টুর্নামেন্টও আগের সব স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে নতুন করে শুরু করে। টেনিস খেলোয়াড়দের উইনিং ফিসহ সব ক্ষেত্রে উন্নতি প্রচার-প্রসারই বাড়িয়ে দেয় টেনিসের। শুরু হয় আধুনিক গ্র্যান্ড স্লামের মূল সূচনা। সেই থেকে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মান দিনে দিনে বৃদ্ধিই পেয়েছে শুধু ।

বর্তমানের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নীল হার্ড কোর্টের গ্র্যান্ড স্লাম। কিন্তু শুরুতে নীল কোর্ট তো দূরে থাক হার্ড কোর্টই ছিল না। অস্ট্রেলেশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সূচনা হয়েছিল গ্রাস কোর্টে। ১৯০৫ সাল থেকে নিয়মিত গ্রাস কোর্টেই খেলা হতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। কিন্তু এর পরিবর্তন আসে ১৯৮৮ সালে। সে বছর ঘাসের কোর্ট থেকে হার্ড কোর্টে চলে আসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। এর মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিক। ঘাসের কোর্ট পরিচর্চা করতে যে পরিমাণ খরচ হয়, তার সিকিভাগও হয় না হার্ড কোর্টে। তাই ঘাসের কোর্ট বদলে হার্ড কোর্টে চলে আসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। তবে সে সময় হার্ড কোর্টের রং ছিল সবুজ। ঘাসের কোর্টের প্রতি সম্মান রেখেই খেলা হতো সবুজ হার্ড কোর্টে । তবে সেটাও বদলে ফেলা হয় ২০০৮ সাল থেকে। এর পেছনে মূল অনুঘটক হিসেবে ছিল টিভি সম্প্রচার। টিভিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের হলুদ বল আর সবুজ কোর্ট মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত। দর্শকদের যাতে বুঝতে সুবিধা হয়, তাই কোর্টের রং বদলে পাকাপাকিভাবে করা হয় নীল। মেলবোর্ন পার্ক অ্যারেনা তাই এখন রিবাউন্ড এইস সার্ফেসের নীলাভ সাজে সজ্জিত।

১৯৮৮ সালে এসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থিতু হয় মেলবোর্ন পার্কে। এর আগে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে হতো এই টুর্নামেন্ট। এমনকি অস্ট্রেলিয়া ছাড়িয়ে নিউজিল্যান্ডেও বসেছে এই টুর্নামেন্টের দুই আসর। মেলবোর্ন পার্ককে শুধু টেনিস টুর্নামেন্টের আসর ভাবলে ভুল হবে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পুরো অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটা উৎসব। অস্ট্রেলিয়াজুড়েই এ সময় চলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি। তাই সবাই এসে পাড়ি জমায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দেখতে। গত বছর মোট ৮ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট দেখতে। এ সময় হয় অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। ৩৯ কোর্টের এই মিলনমেলায় ৭০–এরও বেশি দেশ থেকে যোগ দেন সাত শরও বেশি খেলোয়াড়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুধু ছেলে আর মেয়েদের সিঙ্গেলস-ডাবলসে সীমাবদ্ধ নয়। এখানে রয়েছে মোট ১১টি টুর্নামেন্ট। আছে লিজেন্ডদের একটা টুর্নামেন্ট। টেনিস কোর্টকে বিদায় বলা খেলোয়াড়েরা নামেন একে অপরের বিরুদ্ধে, আনন্দের জন্য।

তবে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রাজত্ব একজনেরই—জোকার। এই নামেই পরিচিত সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। মোট ৮ বার এই মেলবোর্ন পার্কে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন জোকোভিচ। ৬টি ট্রফি নিয়ে তাঁর ধারেকাছে আছেন রয় এমারসন আর রজার ফেদেরার।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সোফিয়া কেনিনও ফর্মে ছিলেন না গত অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পর থেকে।

আর নারীদের রাজ্যে রাজত্ব সেরেনা উইলিয়ামসের। ২০০৩ সালে বোন ভেনাস উইলিয়ামসের বিপক্ষে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন সদ্য টিনেজ পেরোনো সেরেনা। সেই থেকে এই কোর্টকেই নিজের রাজত্ব বানিয়ে নিয়েছেন। মোট ৭টি শিরোপা নিয়ে ওপেন যুগে সবার ওপরে সেরেনা। তবে ওপেন যুগের আগে মার্গারেট কোর্ট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সর্বজয়ী। ১১ শিরোপা নিয়ে সব মিলিয়ে তিনি এখনো সবার ওপরে।

তবে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন একটু বেশিই আলাদা। আগের ১০৮টি টুর্নামেন্টে যা হয়নি এবারই সেটা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ালিফাইং রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে, দোহায়। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এসে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থেকে খেলতে নামবেন তাঁরা। মেলবোর্ন পার্কে এর আগে কখনো ফেব্রুয়ারিতে গড়ায়নি টুর্নামেন্ট। সেটিও হতে চলেছে এবার।

গত বছর মহামারি আক্রমণের আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। সেখানে খুব সহজেই অষ্টমবারের মতন শিরোপা তুলে ধরেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। গত মৌসুমে দ্রুত বাদ হয়ে যাওয়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নাদাল আর ফেদেরার, তাঁকে বেশ স্বস্তিতেই রেখেছিল। যদিও ফাইনালে ডমিনিক থিম বেশ বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। এক সেট হারিয়েই নিজের ১৭তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিয়েছিলেন ‘জোকার’। তবে এবারের লাইনটা অত সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।

বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম জিতে বেশ আনন্দে আছেন রাফায়েল নাদাল। রজার ফেদেরারের সঙ্গে এত দিনে সমান সমান গ্র্যান্ড স্লাম করতে পেরেছেন তিনি। বছরের শুরুতেই এবার ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ। এই অপেক্ষাটা ফ্রেঞ্চ ওপেন পর্যন্ত নিতে চাইবেন না নাদাল। তার ওপর এবারের টুর্নামেন্টে ফেদেরার নেই। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়েই খেলতে যান ফেদেরার। কিন্তু ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকাসহ নানা কারণে নাম সরিয়ে নিয়েছেন রজার। তাই প্রতিপক্ষ বলতে শুধু জোকোভিচ। তবে এত দিন পর্যন্ত নেক্সট জেনারেশনের কারও হাতে গ্র্যান্ড স্লাম আর অভিজ্ঞতা নেই বলে যে স্বস্তি পাচ্ছিলেন ‘বিগ থ্রি’, সেটাও নেই এবার। ডমিনিক থিম এই কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জিতে নিয়েছেন নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম। রাশিয়ান মেদভেদেভ আর গ্রিক দেবদূত স্তেফানোস সিৎসিপাস তো আছেনই। পচা শামুক হিসেবে পা কাটতে পারে দিমিত্রভ-ভাভারিঙ্কায়ও। করোনা পরিস্থিতিতে খেলায় বাধা পড়া, আবার কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকা—সবকিছুই বেশ ভজকট পাকিয়ে দিয়েছে এই অনুমানে। তাই বড় বড় তারকাও ভয়ে আছেন, কখন কোন খেলোয়াড় না তাদের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নতুন কারও হাতেও শিরোপা ওঠার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। শুধু জোকোভিচ আর নাদালকে পাশ কাটাতে পারলে অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে বাকি মোটামুটি সবাই সমান।

বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম জিতে বেশ আনন্দে আছেন রাফায়েল নাদাল। রজার ফেদেরারের সঙ্গে এত দিনে সমান সমান গ্র্যান্ড স্লাম করতে পেরেছেন তিনি।

নারী এককে অনুমান করা আরও মুশকিল। জোকোভিচ আর নাদাল তো তা–ও দুই পাশে রয়েছেন, নারীদের ক্ষেত্রে শুধু সেরেনা উইলিয়ামস। আর বয়সের কারণে ফেবারিটের তালিকা থেকে সরিয়ে রাখলে আর কেউই নেই বলার মতন। ৩২ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ১১ জন আছেন গ্র্যান্ড স্লামজয়ী। সেরেনা বাদে ১০ জন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সোফিয়া কেনিনও ফর্মে ছিলেন না গত অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পর থেকে। দিন শেষে ফেবারিট না থাকার অর্থ, এই টুর্নামেন্ট সবার জন্য উন্মুক্ত। সেরেনা আবারও জেগে না উঠলে এদের মধ্য থেকেই কারও হাতে উঠবে শিরোপা। নাওমি ওসাকা, সিমোনা হালেপ আর বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কুরই একটু ফর্মে রয়েছেন। তবে নতুন বছর মানেই নতুন সমীকরণ। আগের বছরে সেরা ফর্মে থাকা খেলোয়াড়কে খুঁজেই পাওয়া যায়নি—এমন ঘটনাও নতুন কিছু নয়। তাই এবার নতুন কোনো গ্র্যান্ড স্লামজয়ীকে দেখা অবাক করার মতো কিছু হবে না।

দিন শেষে ২০২১ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন যে–ই জিতুক না কেন, সারা পৃথিবীর দর্শকদের কাছে ‘দ্য হ্যাপি স্লাম’ এক টুকরো শান্তির সুবাতাস। গত অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হয়েছিল দুঃসংবাদ দিয়ে। দাবানল, রাজনৈতিক সংঘাত—চারপাশ মিলিয়ে নিজেদের নিকনেমের মান রাখতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। তবে এবার সব সংকট পেরিয়ে ঠিকই ‘দ্য হ্যাপি স্লাম’ হয়ে উঠবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, সেটাই প্রত্যাশা।