আকাশ বড় কাঁদছে

অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী

ঝড়ের আভাস মেঘ থমথম মুখ ভার ভার আকাশ

পড়াশোনায় নেই মনোযোগ, ‘তুই যে কোথায় তাকাস!’

আকাশ স্যারের কী হয়েছে ছাত্রীকে তার ধমকায়

বর্ষা ক্লাসে ফরসা মেয়ে বিজলি ভয়ে চমকায়!

পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে মেঘরা গলা সাধছে

এসব দেখে মন ভালো নেই আকাশ বড় কাঁদছে।

ঝর ঝর ঝর কান্না ঝরে পড়ছে মুষলধারায়

এমন দিনে কী বলা যায় মনটা কোথায় হারায়!

গ্রিল-জানালায় গাল ঠেকিয়ে উদাস চোখে চাওয়া

নাকে-মুখে জলের ঝাপট দিচ্ছে শীতল হাওয়া।

ওই তো বাগান গাছগাছালি চুল খুলে সব নাচছে

বৃষ্টি ধুয়ে দিচ্ছে শরীর কী যে মজা পাচ্ছে

টাপুরটুপুর একটা দুপুর ঝাপুরঝুপুর শাওয়ার

এ গাছগুলোর জীবনে আর নেই তো কিছু চাওয়ার।

সবুজ পাতায় কাব্য লেখে রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টি

একলা ঘরে একটি মেয়ে একটা কিছু সৃষ্টি...

এই ঘরে এই ব্যালকনিতে আসছে এবং যাচ্ছে

উথালপাতাল মনময়ূরী পেখম তুলে নাচছে

ঝোড়ো হাওয়ায় হায় মেয়েটার কী যে মলিন মুখটা

বাইরে যাওয়ার নেই তো উপায় দুঃখে ফাটে বুকটা

কাঁদছে মেয়ে: খোলা মাঠে শরীর ভেজার ইচ্ছে

বারান্দাতে চোখের সে জল বৃষ্টি ধুয়ে দিচ্ছে।