আজিনদের গল্প

গল্পের শুরুটা প্রায় ১৭ বছর আগে আফ্রিকায়। ঘটনাচক্রে অদ্ভুত কিছু মানুষের দেখা মেলে সেখানে, যারা নিজেদের মৃত্যু হলে শরীরকে আবার নিজে থেকেই ঠিক (রিজেনারেট) করে নিতে পারে। এককথায় কোনো দুর্ঘটনায় বা স্বেচ্ছায় পুরোপুরি মারা গেলে অদ্ভুতভাবে পুনরায় জীবন ফিরে পেতে পারে। নিজেদের এরা আজিন বলে পরিচয় দেয়। অদ্ভুত এই শক্তির কারণে সাধারণ মানুষ ভীষণ ভয় পায় আজিনদের, ঘৃণাও করে। সমাজে আজিনরা অবৈধ আর নিষিদ্ধ। ধরা পড়লেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ল্যাবরেটরিতে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয় ইঁদুরের মতো। সাধারণ মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাইলেও আজিনরা তাই নিরুপায়। যদিও আজিন হিসেবে জন্ম নেওয়া কারও ইচ্ছা–অনিচ্ছার ব্যাপার নয়।

গল্পের নায়ক কেই নাগাই নামের এক সাধারণ ছাত্র। পড়াশোনা করতে ভালোবাসে নাগাই, তার বন্ধুও সীমিত। জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নিজেকে সমাজের অনন্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, ঝুট–ঝামেলাহীন জীবনযাপন। যুক্তি ছাড়া এক পা চলতে নারাজ সে। তাদের ক্লাসেই আজিনদের নিয়ে কথা বলছিলেন শিক্ষক। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও ছড়িয়ে যায়, যেখানে কোজি তানাকা নামের এক আজিনের ওপর করা ভয়ানক সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার একাংশ দেখা যায়। নাগাইয়ের হঠাৎ একটু খটকা লাগে। মনকে প্রশ্রয় না দিয়ে স্কুল থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যেতে থাকে। আজিনদের কথা ভাবতে ভাবতে বন্ধুদের এড়িয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় মাথায় ভয়ানক আঘাত পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায় নাগাই। অন্তত ঘটনাস্থলের সবাই তা–ই ভেবেছিল। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী? কেন সবাই পালাচ্ছে শহর থেকে? এদিকে হঠাৎ আগমন হওয়া দ্য হ্যাট নামক আজিনের উদ্দেশ্যই বা কী? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ইয়ো তোসাকিকেও শহরে বেশ চিন্তিত মুখে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। কী চায় সে আর তার অদ্ভুত সহকারী? এত প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে দেখতে হবে আজিন: ডেমি-হিউম্যান অ্যানিমেটা। সিজিআইয়ের দারুণ ব্যবহার, নাগাইয়ের অদ্ভুত মানসিকতা ছাড়াও আমাদের সমাজে যারা আমাদের মতো নয়, কিছুটা আলাদা বা অনন্য, সমাজে চলাফেরা করতে তাদের কতটা যুদ্ধ করতে হয়, তা–ও ধারণা করা যায় আজিন: ডেমি–হিউম্যান দেখলে।

প্রথম প্রচার: ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

মোট পর্ব: ২৬

জনরা—অ্যাকশন, হরর, সুপারন্যাচারাল