আনন্দ-বেদনায় পাশে

অলংকরণ : রাকিব রাজ্জাক

২০১৬ সাল। স্কুলে বসে আমি টিফিন খাচ্ছি। হঠাৎ ডান পাশে তাকাতেই দেখি আমার বান্ধবীরা কিছু একটা নিয়ে কথা বলছে। বলতে গেলে একদম আলোচনায় বসেছে। তো টিফিন খাওয়া শেষ করে আমিও ওদের কাছে গেলাম, কী নিয়ে কথা বলছে, দেখার জন্য। গিয়ে দেখি বান্ধবী তানিমার সামনে একটা বই। সবাই ওটার ওপরই ঝুঁকে আছে। প্রশ্ন করলাম, ‘এটা কী?’ শুনে ওরা হেসেই কুটিকুটি। যেন একটা বোকার মতো প্রশ্ন করলাম। নিজেও খানিকটা লজ্জা পেলাম। আমার অবস্থা দেখে ফারিহার মনে হয় একটু দয়া হলো। সে এসে বলল, এটা একটা ম্যাগাজিন। অনেক মজা পড়তে। গল্প, উপন্যাস, কমিক সবই আছে। তানিমাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় পাওয়া যায়? বলল, ‘হকার আঙ্কেলকে বললেই দেবে।’

প্রতি মাসের ৫ তারিখ দেয়। আমার উৎসাহ আর দেখে কে? বাসায় এসেই ঠিক করি, কালকেই হকার আঙ্কেলকে বলে রাখতে হবে পরের মাস থেকে কিশোর আলো দিতে। পরের মাসের ৫ তারিখ প্রথম কিআ হাতে পাই। আমার জীবনের প্রথম কিআ। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত সব কটি কিআ আমার আলমারির একটা বড় জায়গা দখল করে আছে। সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় সব সময়ই কিআ আমার পাশে থেকেছে। ধন্যবাদ, কিআ তোমাকে।