আমার জীবনে কিশোর আলো

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

ছোটবেলা থেকেই আমি বইপাগল। বই, ম্যাগাজিন, পেপার যা-ই পেতাম, সঙ্গে সঙ্গেই পড়ে ফেলতাম। সে রকমই একদিন হঠাৎ করে প্রথম আলো পত্রিকায় প্রথম কিআর খোঁজ পেলাম, সময়টা ছিল ১ অক্টোবর ২০১৮ সাল। সেই বছরই ডিসেম্বর মাসে প্রথম কিআ কিনেছিলাম। প্রথম সংখ্যাটা পড়েই কিশোর আলোর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম আমি। তারপর থেকে চাইছিলাম নিয়মিত প্রতিটি সংখ্যা পড়তে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় কিশোর আলোর প্রতিটি সংখ্যা পেতাম না আমি। অনেক কষ্ট করে যে কয়টা পেয়েছি এই পর্যন্ত সেগুলো যে কেমন আগ্রহ নিয়ে পড়েছি, তা হয়তো কলমে লিখে প্রকাশ করতে পারছি না। যখনই প্রিয় কিআর নতুন সংখ্যা হাতে পাই, একটা অন্য রকম রোমাঞ্চ অনুভব করি। প্রথম দিন তো কিআ পড়তেই পারি না, শুধু উত্তেজনায়, আনন্দে! এতটাই ভালোবাসি কিআকে।

ভালোবাসার এই কিআ আমার জীবনে অনেক অবদান রেখেছে। আমি সব সময় একা থাকতে পছন্দ করতাম। কিন্তু কিআ আমাকে মিশুক বানিয়েছে। বুঝিয়েছে কেন মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। কিআর কারণে আগের চেয়েও বেশি বইপ্রেমী হয়েছি। লেখালেখি করতেও পছন্দ করতাম। কিআ সেখানেও তার উৎসাহের মাত্রা যোগ করেছে তুমুলভাবে। জানি না কখনো আমার লেখা কিশোর আলোতে ছাপা হবে কি না, কিন্তু আশা ছাড়িনি। হয়তো কোনো একদিন সেটা হবে। প্রত্যাশা, একদিন হলেও আমার লেখা কিশোর আলোতে ছাপা হবে।

কিআর উৎসাহে এবং নিজের গভীর ইচ্ছায় আজ আমার বাড়িতে খুব সুন্দর একটা ফুলের বাগান আছে। কত ফুলের সমাহার সেখানে। কিআ যেন সব সময় আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে প্রকাশ করতে সাহায্য করছে। আমি যেমন একটা পৃথিবী সব সময় কামনা করতাম, কিআ ঠিক তেমনই একটা পৃথিবী আমাকে উপহার দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমার পৃথিবী অনেক বড়। আমি এখন অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে পারি। কল্পনা আর বাস্তবতার সংমিশ্রণে নিজেকে মেলে ধর‍তে পারি। জীবনের সঠিক অর্থ অনুভব করতে পারি। সবই কিআর দেওয়া উপহার।

আশা করছি অদূর ভবিষ্যৎ পর্যন্ত কিআ এভাবেই আমাকে দারুণ সব উপহার দিয়ে যাবে। সে অপেক্ষায় আজ এ পর্যন্তই।

লেখক: এসএসসি পরীক্ষার্থী, দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয়, চাঁদপুর