আমার বইয়ের রাজ্য

অলংকরণ: তুলি

আমার ব্যক্তিগত পাঠাগারে ১০১টি বই আছে। সুকুমার রায়ের ছড়ার বই আবোল তাবোল এবং লুৎফর রহমান রিটনের ছড়াসমস্ত আমার খুব প্রিয়। আমার আম্মু আমাকে ঠাকুরমার ঝুলি থেকে কলাবতী রাজকন্যা, সাত ভাই চম্পাসহ অনেক রূপকথা পড়ে শোনাতেন। এখন আমি নিজেই বই পড়ি। বই পড়তে পড়তে আমি গল্পের মানুষগুলোর সঙ্গে কল্পনায় ঘুরে বেড়াই, কখনো সাংবাদিক টিনটিন, বিজ্ঞানী ক্যালকুলাস আর ক্যাপ্টেন হ্যাডকের সঙ্গে দুঃসাহসী অভিযানে বের হই। কখনো তিন গোয়েন্দার সঙ্গে ভূতরহস্য উন্মোচনে অন্ধকারে পুরোনো পোড়োবাড়িতে ঢুকে পড়ি। বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ছোটদের অভিধান বইটি আমার দশম জন্মদিনে বাবা কিনে দিয়েছেন। এই রঙিন সচিত্র বই আমার সবচেয়ে প্রিয় বই। বাংলা অভিধান পড়ে প্রতিদিন আমি ২০-২৫টি শব্দ অর্থসহ শিখি। বাংলা ভাষা শেখাটাই আমার নেশা। গত রাতে পড়েছি হুমায়ূন আহমেদের লেখা তোমাদের জন্য রূপকথা, আজ পড়ছি মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কিশোর উপন্যাস হাতকাটা রবিন। শাহরিয়ারের আঁকা ‘বাবু’ সিরিজের কমিকস বইগুলো খু-উ-ব মজার! কিশোর পত্রিকা ‘কিআ’ আমার সাহিত্যক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করছে। আমি সারা জীবন জ্ঞান-বিজ্ঞানের বই পড়ে যাব। কারণ, বই পড়ার চেয়ে বেশি আনন্দের কাজ আর কিছু নেই।