আমার বন্ধু সূচক দারুণ রসিক মানুষ। তার কয়েকটা রসিকতার উদাহরণ শুনলেই তোমরা বুঝতে পারবে:
পরীক্ষা শুরুর আগের দিন আমরা পরীক্ষা নিয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময় সূচক এসে বলল, ‘এই তোরা কী নিয়ে কথা বলছিস?’ ‘কার কতটা প্রশ্ন কমন পড়েছে, পরীক্ষা কেমন হয়েছে এসব নিয়ে’ বললাম আমরা। ‘আরে আমার তো সবগুলোই কমন পড়েছে।’ ‘সবগুলো?’ ‘হ্যাঁ আমি পরীক্ষা দিয়ে বাসায় গিয়ে গাইড খুলে দেখলাম হুবহু সবগুলো প্রশ্ন গাইডে আছে। অর্থাৎ সবই কমন!
স্যার আমাদের জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোমরা কি কেউ ঈশ্বর চন্দ্রের মতো হতে পারবে?’ সূচক দাঁড়িয়ে বলল, ‘স্যার হতে পারতাম, কিন্তু একটি কারণে হতে পারব না।’
‘কী কারণ?’ ‘স্যার আমার বাসায় ১০০ ওয়াটের বাল্ব থাকলেও রাস্তায় কোনো ল্যাম্পপোস্ট নেই!’
সূচক আমায় ডেকে বলছে, ‘স্মরণ, বইয়ে ভুল লেখা আছে।’ ‘কী ভুল?’ ‘দেখ না বইয়ে লেখা সময় কখনো থেমে থাকে না।’ ‘সঠিক কথা।’
‘না, যখন ঘড়ির ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়, তখন সময় তো থেমে যায়! আবার যখন পড়া না শিখে ক্লাসে আসি, তখনো সময় থেমে যায়!
এবার বলি আমার কথা।
ছোটবেলায় খুব খাদ্যপ্রিয় ছিলাম। সারাক্ষণ এটা ওটা খেতেই চাইতাম। তো একদিন আম্মুকে বলেছি চকলেট খাব। আম্মু দেবেন না। বারবার বলছি, ‘আম্মু তকলেট খাব’ (ছোটবেলার উচ্চারণ তো)। তো আম্মু একবার রেগে গিয়ে বলেন, ‘এখন কিন্তু বকা খাবি।’ আমি বুঝলাম না বকা কী। যেহেতু ‘খাবি’ আছে তাই ভাবলাম কোনো সুস্বাদু খাবার। খানিক্ষণ পর রান্নাঘরে গিয় আম্মুকে বললাম, ‘বকা, বকা।’ আম্মু বলেন ‘কী হয়েছে?’ আমি বললাম, ‘বকা কাব, বকা কাব।’ আম্মু তো হেসেই খুন।