জেএসসি পরীক্ষার মাত্র কদিন বাকি। আমার রাতে ঘুমানোর আগে অঙ্ক করার অভ্যাস। সেদিন অঙ্ক করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। ক্লান্ত শরীর, তাই ভেবেছি বিছানায় গেলেই ঘুম চলে আসবে। কিন্তু নাহ্। ঘুম তো আসছেই না, আবার ক্লান্ত বলে বিছানা থেকেও উঠতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। তার ওপর এখন আবার লাগছে ভয়। কারণ, আমি শুনেছি মধ্যরাতে নাকি ভূতের আনাগোনা বেশি থাকে। কী মুশকিল! তারপর দিলাম গায়ে কাঁথা মুড়ি। চোখ বন্ধ করতে না করতেই হঠাৎ টের পেলাম আমার কাঁথার ভেতরে কে যেন ঢুকছে। কাঁথাটা উঠিয়ে ভেতরে দেখতেই দিলাম গলা ফাটিয়ে এক চিৎকার। দেখলাম দুটো চোখ আমার দিকে জ্বলজ্বল করে তাকিয়ে আছে।
আমার চিৎকার শুনে আম্মু-আব্বু দৌড়ে আসে। আমার ভিতু চেহারা দেখে তাড়াতাড়ি বাবা লাইট অন করে কাঁথাটা বিছানা থেকে সরিয়ে ফেলে। তখন যা দেখলাম তাতে আমরা তিনজনই হাসিতে ফেটে পড়ি। কেননা কাঁথার ভেতর ভূত না, ছিল আমার আদরের পোষা বিড়ালটি। ওর চোখ দুটো জ্বলে বলে আমি ওর নাম দিই স্পার্কেল। কিন্তু ওই মুহূর্তে আমার ওর কথা মনে ছিল না বলে বিড়ালটাকেই ভূত মনে করি বসি আমি। হি! হি! হি! হি!