ইস্তিরি, চেক বই এবং অন্যান্য

আঁকা : সব্যসাচী চাকমা
  • এক ভদ্রমহিলা গেছেন ডাক্তারের কাছে—
    ভদ্রমহিলা: ডাক্তার সাহেব, আমার দুটো কান পুড়ে গেছে।
    ডাক্তার: হুম, দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কীভাবে পুড়ল?
    ভদ্রমহিলা: আমি আমার স্বামীর শার্ট ইস্তিরি করছিলাম। হঠাৎ ফোন এল। আমি ফোন না তুলে ভুল করে ইস্তিরিটা তুলে কানে লাগিয়ে ফেলেছিলাম।
    ডাক্তার: বুঝলাম, কিন্তু অন্য কানটা পুড়ল কীভাবে?
    ভদ্রমহিলা: লোকটা যে আবারও ফোন করেছিল!

  • রেগেমেগে অফিস থেকে বাড়ি ফিরলেন শফিক।
    শফিকের স্ত্রী বললেন, ‘কী হলো? আজ এত চটে আছ কেন?’
    শফিক: আর বোলো না। প্রতিদিন অফিসে যে কর্মচারীর ওপর রাগ ঝাড়ি, সে আজ অফিসে আসেনি। মেজাজটাই খারাপ হয়ে আছে।

  • মন্ত্রী আসছেন! বহু লোক জড়ো হয়েছে রাস্তার দুই পাশে। সবার হাতে ফুল, বিভিন্ন বক্তব্য লেখা প্ল্যাকার্ড। এমন সময় এক বৃদ্ধকে দেখা গেল প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘ধন্যবাদ, মন্ত্রী মশাই। আপনি আমার শৈশবটা সুন্দর করেছেন।’
    লোকজন জিজ্ঞেস করল, ‘কী দাদু, আপনি এ কী লিখে এনেছেন? সবাই জানে, আপনি যখন ছোট ছিলেন, তখন ওই মন্ত্রীর জন্মই হয়নি।’
    বৃদ্ধ বললেন, ‘সে জন্যই তো তাঁকে ধন্যবাদ দিচ্ছি!’

আঁকা : সব্যসাচী চাকমা
  • বাড়িতে অতিথি এসেছেন। মা পল্টুকে ডেকে বললেন, ‘বাবা পল্টু, জলদি অতিথিদের জন্য বাইরে থেকে একটা কিছু নিয়ে এসো তো।’
    দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল পল্টু। কিছুক্ষণ পর ফিরল খালি হাতে।
    মা: কী হলো? কী আনলে ওনাদের জন্য?
    পল্টু: ট্যাক্সি! ওনারা যেন জলদি বাড়ি ফিরতে পারেন!

আঁকা : সব্যসাচী চাকমা
  • শিক্ষক: বলো দেখি জামাল, জীবনে বড় হতে হলে কোন বই তোমাকে সবচেয়ে সাহায্য করবে?
    জামাল: স্যার, আমার বাবার চেক বই।

আঁকা : সব্যসাচী চাকমা
  • এক ভদ্রলোক একবার এক হোটেলে ঢুকে মাংস রুটির অর্ডার দিলেন। বয় মাংস–রুটি এনে তাঁর সামনে রাখল। ভদ্রলোক এক টুকরা মাংসে কামড় দিয়েই সোজা ম্যানেজারের সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন—
    ভদ্রলোক: আপনাদের এই হোটেলটা খুব পুরোনো, তাই না?
    ম্যানেজার: হ্যাঁ, এই বাড়িটা মোগল আমলের, আর এ বাড়িতে হোটেল ব্যবসা চলছে সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই!
    ভদ্রলোক: মোগল আমল, ব্রিটিশ আমল সবই বুঝলাম, কিন্তু বয় যে মাংসটি দিয়ে গেল সেটি কোন আমলের?