এক অনন্য গল্পকথক

অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী

আইজ্যাক আসিমভ ছিলেন বহুপ্রজ লেখক। দুই হাতে লিখেছেন। লিখেই গেছেন। পাঁচ শতাধিক বই বেরিয়েছে তাঁর। সবই যে কল্পকাহিনি, তা নয়। বিজ্ঞানের বই লিখেছেন, ইতিহাসের বইপত্র লিখেছেন। এমনকি বাইবেল আর শেক্‌সপিয়ার নিয়েও তাঁর বই আছে। 

কিন্তু পাঠকেরা তাঁকে যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে তাঁর রোবট–কাহিনিগুলোর জন্য, ‘ফাউন্ডেশন’ নামে সাতটি উপন্যাসের এক সিরিজের জন্য, আর ‘নাইটফল’ নামের এক অনন্য গল্পের জন্যে। 

‘ফাউন্ডেশন’ সিরিজের অসংখ্য ভক্তের একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। গার্ডিয়ান পত্রিকায় সম্প্রতি এক নিবন্ধে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে এই সিরিজ উপন্যাস তাঁর কৈশোরের চিন্তাজগৎকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। ক্রুগম্যান মনে করেন, পরবর্তীকালে তিনি যে অর্থনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন, সেটা ওই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হ্যারি শেলডন হয়ে ওঠার চেষ্টা থেকে। 

পুরো সাতটি উপন্যাসের ‘ফাউন্ডেশন’ সিরিজের কাহিনি ঘুরপাক খায় একটাই ধারণাকে কেন্দ্র করে—সাইকোহিস্ট্রি। সাইকোহিস্ট্রি গণিতবিদ হ্যারি শেলডনের উদ্ভাবিত এক বিশেষ বিদ্যা। মানুষের সভ্যতার নিয়তি আগাম বলে দিতে পারে এই বিদ্যা। কী ঘটবে—ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। নিখুঁত ভবিষ্যদ্বাণী। সাইকোহিস্ট্রি বিদ্যা প্রয়োগ করে শেলডন বুঝতে পারেন, মিল্কিওয়ে ছায়াপথে আড়াই কোটি গ্রহজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সুবিশাল, সুশৃঙ্খল মানবসভ্যতা ‘গ্যালাকটিক এম্পায়ারের’ পতন ঘটতে যাচ্ছে শিগগিরই। তার জায়গা নেবে ৩০ হাজার বছরজুড়ে চলতে থাকা এক বিশৃঙ্খল অন্ধকার যুগ। তারপর একদিন সেই বিশৃঙ্খলার ভেতর থেকে জন্ম নেবে আরেকটি নতুন এম্পায়ার বা সাম্রাজ্য—যেটার নাম সেকেন্ড এম্পায়ার। 

এখন ভবিষ্যৎ জানতে পারার একটা বাই-প্রোডাক্ট বা উপজাত আছে—ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারার ক্ষমতা লাভ। শেলডন মনে করেন, তিনি ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারেন।

শেলডন দাবি করেন, তিনি ৩০ হাজার বছরের ওই মধ্যবর্তী অন্ধকার যুগকে এক হাজার বছরে নামিয়ে আনতে পারবেন, যদি তিনি অমোঘ ঘটনাচক্রের মধ্যে সামান্য, খুবই সামান্য একটু বদল ঘটাতে পারেন। ইতিহাসের ছুটন্ত বাসের স্টিয়ারিং সামান্য নাড়িয়ে দেওয়ার মতো। এখনই। তাতে বড় সময়জুড়ে বাসের গতিপথে বিরাট বদল আসবে। গন্তব্য বদলে যাবে। সেই স্টিয়ারিং নাড়িয়ে দেওয়া ক্ষুদ্র বদলটার নাম ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন হলো বিজ্ঞানী আর প্রকৌশলীদের একটা গোপন সমাজ। এ রকম দুটো সমাজ শেলডন স্থাপন করেন ছায়াপথের দুই বিপরীত প্রান্তে। একটা ফাউন্ডেশনের অস্তিত্ব আরেকটা ফাউন্ডেশন জানে না।

এ–ই হলো ‘ফাউন্ডেশন’ সিরিজের মূল কাহিনি।

‘ফাউন্ডেশন’ খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লে যে কারও চোখে পড়বে, এর অধ্যায়গুলো আসলে আলাদা গল্প। এগুলো শুরুতে বিচ্ছিন্ন গল্প হিসেবে লেখা হয়েছিল। একটা করে অধ্যায় শেষ হয় এক টান টান উত্তেজনার মুহূর্তে। পরের অধ্যায় শুরু হলে দেখা যায়, মাঝখানে বহু বছর পেরিয়ে গেছে।

ক্রুগম্যান বলছেন, আসিমভ সাইকোহিস্ট্রি নামে যে বিদ্যা কল্পনা করেছেন, সেটা আর কিছুই নয়, মোটাদাগে এটা হলো অর্থনীতি। সম্মিলিত মানুষ বা মানবসমাজের কর্মকাণ্ডকে বোঝার এবং ভবিষ্যদ্বাণী করার গাণিতিক বিদ্যার নামই হলো অর্থনীতি। অর্থনীতিবিদেরা হলেন এ যুগের সাইকোহিস্টোরিয়ান। ক্রুগম্যান নিজে তার সময়ের অর্থনৈতিক মন্দা কাটানোর বুদ্ধি বাতলেছেন অর্থনৈতিক তত্ত্বের মডেল দিয়ে।

‘ফাউন্ডেশন’ সিরিজ পড়তে গেলে হ্যারি শেলডনের মধ্যে অনেকে আরেক মহাতাত্ত্বিকের ছায়া খুঁজে পেতে পারেন। তিনি হলেন কার্ল মার্ক্স। এই কমিউনিস্ট দার্শনিক বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার পতন এবং সেই ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরেকটা নতুন সমাজের উদ্ভবের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন হ্যারি শেলডনের মতো করে। শুধু তা–ই নয়, শেলডনের মতোই ইতিহাসের অমোঘ নিয়তির মধ্যে হস্তক্ষেপ করে সেটা বদলে দেওয়ার বুদ্ধিও বাতলেছিলেন তিনি। শেলডন যেটার নাম দিয়েছেন ফাউন্ডেশন, কার্ল মার্ক্সের ভাষায় সেটা হলো কমিউনিস্ট বিপ্লব।

আসিমভ যখন ‘ফাউন্ডেশন’ লিখছেন, তখন তিনি সদ্য কৈশোর পেরোনো এক আমেরিকান তরুণ। অ্যাসটাউন্ডিং স্টোরিজ অব সুপার-সায়েন্স নামের এক পাল্প ম্যাগাজিনের তখন তিনি নিয়মিত লেখক। পাল্প ম্যাগাজিন হচ্ছে সস্তা কাগজে ছাপানো জনপ্রিয় ধাঁচের সাহিত্য-পত্রিকা। রেলস্টেশন, পত্রিকাস্ট্যান্ড—এমন ভিড়ের জায়গায় এগুলো বিক্রি হয়। আমাদের দেশে রহস্য পত্রিকা একটি পাল্প ম্যাগাজিন।

আসিমভ যখন ‘ফাউন্ডেশন’ লিখছেন, তখন তাঁর ধারণাই ছিল না তিনি আসলে সিরিজ কাহিনি লেখার নতুন একটা ধরন বা জনরার জন্ম দিচ্ছেন। ‘ফাউন্ডেশন’ খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লে যে কারও চোখে পড়বে, এর অধ্যায়গুলো আসলে আলাদা গল্প। এগুলো শুরুতে বিচ্ছিন্ন গল্প হিসেবে লেখা হয়েছিল। একটা করে অধ্যায় শেষ হয় এক টান টান উত্তেজনার মুহূর্তে। পরের অধ্যায় শুরু হলে দেখা যায়, মাঝখানে বহু বছর পেরিয়ে গেছে। যে সংকটের কথা আগের অধ্যায়ের শেষ দিকে বলা হয়েছিল, সেটা কবে নিষ্পত্তি হয়ে একটা ফুটনোটে পরিণত হয়ে গেছে।

এটা এক নতুন আর অনন্য প্লট ডিভাইস। কিন্তু এই কৌশল জন্ম নিয়েছে নিতান্ত প্রয়োজনের তাগিদে। অ্যাসটাউন্ডিং পত্রিকার সম্পাদক জন ক্যাম্পবেল জুনিয়র কিশোর আসিমভকে বলেছিলেন, ‘ফাউন্ডেশন’–এর মূল কাহিনি-কাঠামোর মধ্যে আলাদা গল্প লিখতে। আসিমভের অনেক কাহিনির মেন্টর ছিলেন তখন ক্যাম্পবেল। সাইকোহিস্ট্রির ধারণাটা ক্যাম্পবেলই তাঁর মাথায় ঢুকিয়েছিলেন। ক্যাম্পবেল যাতে ‘ফাউন্ডেশন’ কাহিনির একটা গল্প ছাপিয়েই সেটা বন্ধ করে দিয়ে সিরিজটার মৃত্যু ডেকে না আনতে পারেন, সে জন্য আসিমভ তাঁর প্রথম গল্পটা বেশ কায়দা করে শেষ করেছিলেন এমন একটা জায়গায়, যাতে একটা টান টান উত্তেজনা আর কৌতূহল তৈরি হয়। ক্যাম্পবেল পরের গল্পটা চাইতে বাধ্য হন। ফলে আসিমভ আসলে যা করছিলেন, সেটা একদা করেছিলেন আরব্য রজনীর চরিত্র শেহেরজাদ। আর সেটা হলো গল্প বলে বলে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। আসলে এটা গল্প বলে বলে গল্পটাকেও বাঁচিয়ে রাখা।

এইটাই মূল কথা। আসিমভ আসলে আরব্য রজনীর গল্পকথক শেহেরজাদের মতো করে গল্প শুনিয়েছেন, কাহিনি সাজিয়েছেন। হোক সেটা একটা বিশাল ছায়াপথজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সভ্যতার গল্প, আর হোক সেটা রোবটদের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখের গল্প। কাহিনি চিরকালের।

আসিমভ বিজ্ঞান কল্পকাহিনির লেখক বটে। একটা নির্দিষ্ট ঘরানার কাহিনিকার। কিন্তু তাঁর প্রধান গুণ তিনি গল্প বলার মানুষ। রোবট, আন্তনাক্ষত্রিক সভ্যতা, স্পেসশিপ—এগুলো সরিয়ে ফেললে যা অবশিষ্ট থাকে, সেটা মানব-মানবীর চিরকালীন সুখ-দুঃখের কাহিনিই। বৃষ্টির দুপুরে, ঘরের বারান্দায় জমিয়ে বসে মুড়ি-চানাচুর মাখিয়ে মানুষ রসিয়ে রসিয়ে চিরকাল এই সব গল্পই ফেঁদেছে।

আসিমভ বিজ্ঞান কল্পকাহিনিকে ব্যবহার করেছেন একটা খোলস হিসেবে। সেই খোলসে ভরে তিনি মানুষকে সব ঘরানার কল্পকাহিনিই শুনিয়েছেন। লিখেছেন রহস্য গল্প, অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি, ফ্যান্টাসি কাহিনি। কেভস অব স্টিল উপন্যাসে তিনি তৈরি করেছেন আর. ড্যানিল অলিভা নামে এক রোবট-গোয়েন্দা। খুনের রহস্য ভেদ করছে এক গোয়েন্দা রোবট—সে সময় এটা চিন্তা করাও কঠিন ছিল।

দ্য গড দেমসেলভস নামে একটা উপন্যাস শুরু হয় ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে। পাঠক হুট করে উপন্যাসের ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে কাহিনিতে ঢোকেন। তাতে বোঝা মুশকিল হয়, চরিত্রগুলো যা করছে, যা বলছে, তা কেন করছে বা বলছে।

আসিমভ বিজ্ঞান কল্পকাহিনির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাননি। মাঝেমধ্যেই তিনি এগুলোর বাইরে সাধারণ কল্পকাহিনি ফেঁদেছেন। যেমন ‘ব্ল্যাক উইডোয়ারস’ নামে একটা গল্পের সিরিজ তিনি লিখতেন, যেখানে রহস্য সমাধানকারীদের একটা ক্লাবের কথা বলা হয়েছে। ক্লাবের সভ্যরা প্রতি মাসে একবার করে ডিনার খেতে বসেন। সেখানে প্রতিবার একজন অতিথি আনা হয়। সেই অতিথি তার জীবনে ঘটে যাওয়া বা তার শোনা একটা রহস্যময় ঘটনা বর্ণনা করেন। ক্লাবের সভ্যরা সেটা শুনবে এবং রহস্যের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবে। শেষে মোক্ষম সমাধানটা দেবেন ওই ক্লাবের ওয়েটার হেনরি, যিনি কিনা খাবার এগিয়ে দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে অতিথির গল্পটা শুনছিলেন। যেকোনো কাহিনিকারের জন্য এ রকম কাঠামোবদ্ধ কাহিনি বানানো কঠিন হওয়ার কথা। একটা বা দুটি বানানো যায়। কিন্তু আসিমভ এ রকম ডজন ডজন ফরমেটেড গল্প লিখতে পারতেন। অনায়াসে। তুড়ি মেরে।

এইটাই প্রতিভার প্রধান বৈশিষ্ট্য। প্রতিভা হতে হয় অফুরন্ত। ঝরনাধারার মতো। একটি-দুটি চমক দেখিয়ে থেমে গেলে সেটা প্রতিভা হয় না। আসিমভের কলম থেকে ঝরনাধারার মতো চমকপ্রদ কাহিনি বের হতো। কাহিনি বলার ভঙ্গির মধ্যেও নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেন তিনি। দ্য গড দেমসেলভস নামে একটা উপন্যাস শুরু হয় ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে। পাঠক হুট করে উপন্যাসের ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে কাহিনিতে ঢোকেন। তাতে বোঝা মুশকিল হয়, চরিত্রগুলো যা করছে, যা বলছে, তা কেন করছে বা বলছে। পরের অধ্যায় হলো উপন্যাসের প্রথম অধ্যায়। সেটায় গেলে একটু ব্যাখ্যার আভাস পাওয়া যায়। আস্তে আস্তে খোলসা হতে থাকে শুরুর ষষ্ঠ অধ্যায়ের ঘটনার ব্যাখ্যা। কাহিনি বলার ঢঙের ক্ষেত্রে এটা একেবারে নতুন কিছু নয়। এটাকে বলা হয় নন-লিনিয়ার বা অসরলরৈখিক কথন। তবে আসিমভ যেটা করেছেন, তা হলো, ষষ্ঠ অধ্যায়টাকে তুলে এনে শুরুতে বসিয়ে দিয়েছেন। তিনি সেটাকে প্রথম অধ্যায় নাম দিতে পারতেন। কিন্তু না, তিনি সেটা বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় হিসেবেই শুরু করেছেন। ফলে এটা নন-লিনিয়ার কাহিনি থাকেনি আর। লিনিয়ার কাহিনিই নন-লিনিয়ার ভঙ্গি ধার করে বলা হয়েছে।

জীবদ্দশায় আসিমভ খ্যাতিমান আর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ লেখক। তবে তিনি আসলে ছিলেন অ্যাসটাউন্ডিং নামক তিরিশের দশকের সেই পাল্প ম্যাগাজিনেরই লেখক, যেখান থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। শুরুর বছরগুলোয়—১৮ থেকে ২২ বছর বয়সে তিনি যেসব কাহিনি লিখেছেন, সেগুলোই তাঁর জীবনের সেরা লেখা হয়ে থেকেছে। ‘ফাউন্ডেশন’ সিরিজ তিনি যখন লেখা শুরু করেন, তখন বয়স ছিল ২১ বছর। এর মাসখানেক আগে তিনি লিখেছেন ‘নাইটফল’ নামে একটি ছোটগল্প, যেটাকে সর্বকালের সেরা সায়েন্স ফিকশন গল্প হিসেবে সবাই মেনে নিয়েছে। ‘ফাউন্ডেশন’ পেয়েছে সর্বকালের সেরা সিরিজ উপন্যাসের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। আবার ওই সময়ই রোবট গল্পগুলোর কাঠামোর জন্য আসিমভ খেলাচ্ছলে বানিয়ে নিয়েছেন রোবটিকসের তিন সূত্র। সেটা এমনই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে যে লোকে এত দিনে ভুলে গেছে, এটা রোবটিকস নামক বিদ্যার কোনো আনুষ্ঠানিক তত্ত্ব নয়, এটা আসলে সায়েন্স ফিকশনের জগতের উৎকল্পনা।

আসিমভ কল্পকাহিনির এক অফুরন্ত ভান্ডার তৈরি করেছেন। আর যেটা সব মহৎ লেখকের প্রধান কাজ, একটা জগৎ তৈরি করে দেওয়া, আসিমভ সেটা করেছেন। বলতে কি, আসিমভের চেয়ে ভালোভাবে এটা আর কেউই করতে পারেনি। আসিমভ তাঁর কাহিনির জন্য এমন এক উৎকাল্পনিক ভূগোল তৈরি করেছেন, যে ভূগোলের সীমারেখার ভেতরে পরবর্তী সব সায়েন্স ফিকশন লেখকদের কাহিনি লিখতে হয়েছে, হচ্ছে। আমরা সবাই আসলে আসিমভের ভূগোলের বাসিন্দা।