রেডিওতে ভূত এফএম শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। ইয়ারফোনে তখনো কেউ একজন খুব গম্ভীর গলায় ‘তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া’ অদ্ভুত ভৌতিক অভিজ্ঞতার কথা বলছে। কণ্ঠটিই কেমন যেন ছমছমে, মনে হয় যেন ইয়ারফোনে না, কেউ আমাকে ফিসফিসিয়ে কাহিনিটা শোনাচ্ছে। ধুর, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে ভূতের একঘেয়ে গল্প শুনতে ইচ্ছা করছে না। উঠে বসলাম। সকাল সাতটায় কোচিং আছে। এখন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া মানে অনেকক্ষণ আর ঘুম আসবে না। বেশ বিরক্ত লাগছে। কী মনে করে যেন আলো জ্বেলে ঘড়ির দিকে তাকালাম। ঘড়ির কাঁটায় ভোর চারটা বাজে। সময়টা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলাম! একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল শিরদাঁড়া বেয়ে! ভূত এফএম তো রাত দুইটায় শেষ হয়ে যায়। আবার হেডফোন কানে দিলাম। না, এখন আর কোনো ভৌতিক গল্প শোনা যাচ্ছে না। গান বাজছে। তাহলে? এতক্ষণ যে ছমছমে শীতল কণ্ঠস্বরটি ভয়ংকর ভৌতিক কাহিনি বলে গেল, সেটি কার!