ঐশী

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

বেশ কয়েক দিন থেকেই কোনো কাজে মন বসছে না ইশমামের। আজও আনমনে ক্লাসরুমের জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে সে। কলেজের সবচেয়ে বদরাগী লেকচারার নাজিম স্যারের অ্যাকাউন্টিং ক্লাস চলছে। বেশ কয়েকবার তাকে ডাকার পরও ইশমামের সাড়া না পেয়ে হুংকার দিলেন নাজিম স্যার। হুংকারের প্রচণ্ড শব্দে হুঁশ ফিরল ইশমামের।

তিন মাস হলো তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ঐশী হাসপাতালে ভর্তি। অপারেশন করা হয়েছে, তারপরও ডাক্তাররা বলছেন, বিপদ কাটেনি এখনো। কলেজ শেষে বাড়ি ফিরতেই ফোন বেজে উঠল তার। ফোন রিসিভ করল সে;

—হ্যালো

—হ্যালো। দোস্ত আমি ঐশী, তাড়াতাড়ি হসপিটালে চলে আয়।

—কী হয়েছে?

—তুই আয় আমি বলছি।

—আচ্ছা। আমি আসছি।

ঐশীর বিছানার পাশে চেয়ারে বসে আছে ইশমাম। দুজনের কেউ কিছু বলছে না। শুধু একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ ঐশী শ্বাসকষ্টে ছটফট করতে শুরু করল। ডাক্তারকে ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এসে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে বললেন। কিছু ব্যবস্থা করার আগেই ইশমাম দেখল, ঐশী আর ছটফট করছে না। ইশমাম দীর্ঘশ্বাস ফেলল।