কিআ প্রোগ্রামিং ক্লাবের যাত্রা শুরু

প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহীদের দিয়ে সভাকক্ষ তখন পরিপূর্ণ। প্রোগ্রামিং কর্মশালার প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হাসনাইন হেইকেল। তিনি বলেন, ‘প্রোগ্রামিংয়ের দুটো দিক আছে। একটি রঙিন দিক, অপরটি সাদা-কালো দিক। শুরুতেই যদি তোমাদের সাদাকালো দিকে নিয়ে যেতে যাই, তোমরা হয়তো আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তাই শুরুটা হবে চকচকে অর্থাত্ রঙিন দিক দিয়েই।’ কীভাবে খেলতে খেলতে প্রোগ্রামিং শেখা যায় তার সন্ধান দিলেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে বললেন ছোটবেলার ব্লক সাজানো খেলা বা লেগোর কথা।

blockly-games.appspot.com এই ওয়েবসাইটে গেলে ব্লকের সঙ্গে ব্লক জোড়া লাগিয়ে প্রোগ্রাম লেখা যায়, যা প্রাথমিকভাবে প্রোগ্রামিং শেখার রঙিন দিক। এটি ‘ব্লকলি গেমস’ নামে পরিচিত।

‘মুভ ফরোয়ার্ড’, ‘টার্ন রাইট’, ‘টার্ন লেফট’ ইত্যাদি ব্লক দিয়ে একটি প্রোগ্রামকে রান করে দেখানো হচ্ছিল। ১০ লেভেলের এ প্রোগ্রামিংয়ের গেমে প্রতি লেভেলে ভিন্ন ভিন্ন ব্লক সংযোজিত হয় এবং সহজ থেকে কঠিন প্রোগ্রামের দিকে এগোতে থাকে।

তিনি জানালেন, ‘আমরা যখন একটার পর একটা ব্লক সাজাচ্ছি তখনই তার পেছনে জাভা স্ক্রিপ্টের প্রোগ্রাম লেখা হচ্ছে, যার জন্য প্রোগ্রামটা রান করা সম্ভব হচ্ছে।’

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো একটি ভাষার মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করা গেলে অন্য যেকোনো ভাষা শেখা খুব সহজেই সম্ভব হয়। যারা প্রোগ্রামিং শিখতে চায়, তাদের জন্য scratch বা python প্রোগ্রামিং ভাষা খুবই উপযোগী। এ ছাড়া প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জন্য শেখা যেতে পারে C বা C++।

প্রোগ্রামিংয়ের মূল উদ্দেশ্য সমস্যা সমাধান করা। এ বিষয়ে তিনি জানান, ফেসবুক বা গুগলের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে যেসব প্রোগ্রামার কাজ করার সুযোগ পায় তারা আসলে প্রোগ্রামিং ভাষা আয়ত্ত করার জন্য চাকরি পায় না। তারা চাকরি পায় সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকার কারণে। 

দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে প্রোগ্রামিংয়ের সম্পর্ক বোঝাতে বোঝাতেই তিনি শেষ করলেন কিশোর আলো প্রোগ্রামিং ক্লাবের প্রথম সভা।

প্রোগ্রামিং নিয়ে তোমার আগ্রহ থাকলে যোগ দিতে পারো এই ক্লাবে। এর পরের সভাটি হবে ১৩ মে, বেলা তিনটায় কিশোর আলোর কার্যালয়ে। খাতা-কলম হাতে ঘণ্টা তিনেক সময় নিয়ে চলে এসো।

লেখা: মাশায়েখ হাসান

ছবি : শেখ মো. আশফাক