কিডন্যাপারের কবলে ‘কিডন্যাপারের কবলে গুড্ডুবুড়া’

আনিসুল হকের কিডন্যাপারের কবলে গুড্ডুবুড়া বইটি পড়ার ইচ্ছা আমার অনেক দিন থেকেই ছিল। কিন্তু হাতের কাছে বইটি না থাকায় আমার ইচ্ছাটা পূরণ হচ্ছিল না। হঠাৎ একদিন আমার বান্ধবী পিয়াল আমার এ ইচ্ছাটা পূরণ করে দিল। সে ২০১৩ সালের একুশের বইমেলা থেকে বইটি কিনেছিল। বইটি পড়ার ইচ্ছার কথা শুনে সে একদিন বইটি নিয়ে স্কুলে এল। আমি ঠিক করলাম, বাসায় গিয়ে সবার আগে আমার কাজ হবে বইটি পড়া। কিন্তু আমি যে ধৈর্য রাখতে পারছি না। ক্লাসের মধ্যেই সারাক্ষণ শুধু বইয়ের চিন্তা। কখন স্কুল শেষ হবে, বাসায় যাব, বইটি পড়া শুরু করব। অবশেষে টিফিন পিরিয়ডেই পড়তে শুরু করলাম। আমার বান্ধবীরা গল্প করছে আর আমি পড়ছি গুড্ডুবুড়ার বোকামির কাণ্ড। টিফিন শেষ হওয়ার আগে আগে যেই একটু ওয়াশরুমে গেলাম তখনই হলো সর্বনাশটা।

ফিরে এসে দেখি বইটি উধাও! অবাক কাণ্ড, গুড্ডুবুড়া কিডন্যাপ হয়েছে দেখে কি বইটিকেও কিডন্যাপ হতে হবে নাকি। কী আর করা, জানিই তো। এটা আমার কোনো বান্ধবীর কাজ। সবাইকে জিজ্ঞেস করি। কেউ জানে না। এদিকে টিফিনের সময়ও শেষ হয়ে আসছে। এমন সময় আমার আরেক বান্ধবী রাইসা এসে বলল, বইটি সে-ই নিয়েছে। আর আমি যদি টিফিনের বাকি সময়টুকু তার সঙ্গে গল্প করি, তবেই সে বইটি দিয়ে দেবে। তাই বইটির মুক্তিপণ হিসেবে আমাকে তার সঙ্গে গল্প করতে হলো। (আমি অবশ্য গুড্ডুবুড়ার বোকামির কাণ্ডই ওকে বলেছিলাম।) এভাবেই কিডন্যাপারের হাত থেকে উদ্ধার করলাম কিডন্যাপারের কবলে গুড্ডুবুড়া বইটি।