একজন বিখ্যাত বাবুর্চির বাসায় দাওয়াতে এসেছেন তাঁর বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব, যাঁদের মধ্যে একজন আলোকচিত্রীও আছেন। অতিথি আপ্যায়নের ফাঁকে বাবুর্চির দেখা হয়ে গেল তাঁর আলোকচিত্রী বন্ধুর সঙ্গে, ‘আরে, বন্ধু! কত দিন পর দেখা হলো তোমার সঙ্গে! তোমার তোলা ছবি আমি দেখেছি। সব কটি ছবিই চমত্কার। তোমার ক্যামেরাটা নিশ্চয়ই খুবই ভালো আর দামি?’ উত্তরে কিছুই বললেন না আলোকচিত্রী।
বিদায়ের সময় আলোকচিত্রী বলছেন বাবুর্চিকে, ‘বাহ্! দারুণ খাওয়াদাওয়া হলো, বন্ধু! রান্না বেশ ভালো ছিল! তোমার চুলাটা নিশ্চয়ই খুবই ভালো আর দামি!’
এক গাদা ওষুধের নাম লিখে দিয়ে ডাক্তার বললেন রোগীকে, ‘মাথাব্যথা শুরু হওয়ার ঠিক ১৫ মিনিট আগে ওষুধগুলো খাবেন।’
বুড়িগঙ্গার ময়লা পানিতে এক লোককে নামতে দেখে সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, ‘ভাই, নদীতে কী করছেন?’
‘গোসল করছি।’
‘কিন্তু নদীর পানি তো খুবই ময়লা।’
‘সমস্যা নাই। সাবান দিয়ে গোসল করছি।’
বড় ভাইসহ পুরো পরিবারকে বেহালা বাজিয়ে শোনাচ্ছিল শোভন। বেহালা শেষে শোভন জানতে চাইল সবার কাছে, কেমন লাগল?
বড় ভাই এসে বলল, তোকে রেডিওতে বাজানোর সুযোগ দেওয়া উচিত।
শোভন: তার মানে বলছ ভালো বাজিয়েছি?
বড় ভাই: রেডিওতে বাজালে আমি অন্তত চ্যানেলের টিউন চেঞ্জ করার সুযোগ পেতাম, যেটা এখন পারছি না।
দীর্ঘক্ষণ ধরে আঁকায় মনোনিবেশ করতে চেষ্টা করছেন শিল্পী হরিপদ। কিন্তু মডেল মেয়েটা এত নড়াচড়া করছে, বারবারই তাঁর মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটছে। একসময় রেগেই গেলেন হরিপদ। আঁকার চেয়ার থেকে উঠে মডেল মেয়েটার দিকে এগিয়ে গেলেন। এবং চটাস করে মেয়েটার গালে একটা চড় বসিয়ে দিলেন! হতভম্ব হয়ে মেয়েটা বলল, ‘আপনি বুঝি আপনার সব মডেলকেই এভাবে মারেন?’ হরিপদ বললেন, ‘কখনোই না। এর আগে আমি চারটা মডেলের ছবি এঁকেছি। তারা কেউই তোমার মতো নড়াচড়া করেনি।’ মেয়েটা একটু দুঃখী দুঃখী স্বরে বলল, ‘কোন মডেলের ছবি এঁকেছেন, দেখি।’ হরিপদ একটা থালা, দুটো গ্লাস, একটা আধখাওয়া পেঁপে আর একটা ফুলদানির ছবি বের করে দেখালেন!
শতবর্ষী এক বৃদ্ধের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন এক সাংবাদিক।
তিনি বৃদ্ধকে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার এই দীর্ঘায়ুর পেছনে গোপন রহস্য কী?
বৃদ্ধ খুক খুক করে কাশলেন। তারপর বললেন, ‘এখনই সঠিক বলতে পারছি না। একটা ওষুধ কোম্পানি, একটা অরেঞ্জ জুসের কোম্পানি আর একটা শক্তিবর্ধক বিস্কুট কোম্পানির সঙ্গে দরদাম চলছে। দুদিন পরে আসুন। যে সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকাবে, তার নাম বলব!’