গল্প পড়ার এই তো দিন

কিশোর আলোর জুন সংখ্যার প্রচ্ছদ
অলংকরণ: মেহেদী হক

আমাদের ছোটবেলায় একটা গল্প আমরা শুনতাম। তিন বন্ধু। গ, ল, আর প। এর মধ্যে ল ছোট, প বড়। তিন বন্ধু হাঁটছে। যেতে যেতে পথে পড়ল ছোট খাল। গ নদী পার হয়ে গেল। ল বলল, আমি ছোট, আমি নদীতে ডুবে যাব। প তখন তাকে কাঁধে তুলল। গ আর প-এর কাঁধে ল। হয়ে গেল গল্প।

করোনার কারণে আমরা ঘর থেকে বেরুতে পারছি না, আমাদের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। মন খারাপ। চারদিকে ভয়ের খবর। এখনই গল্প শোনার সময়। এখনই গল্প পড়ার সময়। গল্প জীবন বাঁচাতে পারে। আলিফ লায়লা বা হাজার রাত্রির গল্পে এক বাদশাহ রোজ একটা করে নারীকে খুন করত। গল্পের নায়িকা শেহেরজাদ এসে গল্প বলতে শুরু করল। সারা রাত পার হয়ে গেল। বাদশাহ বলত, তারপর? তারপর কী, সেটা আগামী রাতে শোনাব। এইভাবে হাজার রাত পার করে ফেলল শেহেরজাদ। তার প্রাণ বেঁচে গেল।

আর গল্প আমরা কেন পড়ব? গল্প পড়ে তুমি কাঁদবে, হাসবে। যে তোমার কেউ হয় না, তার জন্য যখন তুমি কাঁদো, তখন তোমার মনটা সুন্দর হয়ে ওঠে। গল্প পড়লে তোমার ভাষা সুন্দর হবে, কল্পনাশক্তি বাড়বে, তুমি ঘরে বসেই জগতের বহু মানুষের অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারবে।

এসো, গল্প পড়ি। কারণ, এখনই গল্প পড়ার সময়।