‘টিকটিকি’ শব্দটা শুনলেই আমার কেমন যেন লাগে। আর দেখলে তো এক শ হাত দূরে থাকি আমি। মাসখানেক আগের ঘটনা। আমার পড়ার টেবিলের কাছে জানালার বাইরে একদিন টিকটিকির একটা বাচ্চা এল। আমি তাড়াতাড়ি করে সব দরজা-জানালা বন্ধ করে সেখান থেকে সরে গেলাম। পরদিন দেখি টিকটিকিটা সেই একই জায়গায় এসে হাজির। এরপর থেকে আমি লক্ষ করলাম টিকটিকিটা প্রতিদিন ঠিক সন্ধ্যা ছয়টায় এসে উপস্থিত হয় আমার জানালায়। তখনই আমি সতর্ক হয়ে যাই। ছয়টা বাজার আগেই টেবিলের আশেপাশের সব জানালা বন্ধ করা শুরু করি। একদিন দেখলাম, টিকটিকিটার লেজ কেটে গেছে। খুব কষ্ট লাগল। টিকটিকিটার লেজটা বেশ বড় আর সুন্দর ছিল। এরপর ও যখনই আসত, তখনই আমি বন্ধ কাচের জানালা দিয়ে দেখতাম ওকে। আর দিন গুনতাম কখন ওর লেজ বড় হবে। এরপর একটু একটু করে টিকটিকিটার লেজ বড় হতে থাকে। হঠাৎ একদিন দেখি টিকটিকিটার লেজ আবার আগের মতো হয়ে গেছে। কিন্তু তারপর কী হলো কে জানে। এখন আর টিকটিকিটা জানালায় আসে না। ঘড়ির কাঁটা ছয়টার দাগ অতিক্রম করলেও জানালার ধারে এসে হাজিরা দেয় না। আমি টিকটিকি মোটেও পছন্দ করি না। তবু কেন যেন সেই টিকটিকির কথা খুব মনে পড়ে আমার।