টাকাপয়সার টুকরো কথা

স্কুলে যাওয়ার আগে আম্মুকে গিয়ে কী বলো—‘টিফিনের টাকা দাও’? কিন্তু এই টাকার পেছনের লুকিয়ে থাকা মজার বিষয়গুলো ভেবেছ কখনো? তোমার হাতে থাকা এই টাকা নিয়ে মজার সব তথ্য জেনে নেই চলো।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা। সে সময়কার নোটগুলো ছিল ৫, ১০ ও ১০০ টাকার।
আমেরিকার গৃহযুদ্ধ শেষে ঐ দেশের এক–তৃতীয়াংশ বিনিময় মুদ্রাই ছিল নকল।
সারা পৃথিবীর মাত্র ৮% মুদ্রা এখন নোট বা কয়েনে আছে। বাকি সব বদলে গেছে ইলেকট্রনিক রূপে।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ, যেখানে প্লাস্টিক নোটের প্রচলন হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কোষাগার বিভাগের হিসাবমতে, আমেরিকার নাগরিকদের কাছে ১৫ বিলিয়ন টাকা আছে শুধু ভাংতি টাকা হিসাবে।
প্যাসিফিক আইল্যান্ডের ইয়াপ রাজ্যে এক বিশালাকার পাথরকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। যার মালিক কখনো এটাকে বাড়িতে নিতে পারেনি। শহরের মধ্যে এটি রাখা থাকত। শুধু মৌখিক চুক্তিতেই হস্তান্তর হতো এই বিশালাকার মুদ্রা।
ক্যালিফোর্নিয়ায় বেশ জনপ্রিয় একজন মানুষ হলো ‘মি. প্লাস্টিক ফ্যান্টাস্টিক। উঁহু... প্লাস্টিকের ব্যাগ জমিয়ে নয়।বরং এই মানুষের কাছে আছে ১,৪৯৭টি চলমান ক্রেডিট কার্ড।
১৯৬৭ সালে লন্ডনের বার্কলেস ব্যাংক প্রথমবারের মতো এটিএম বুথ ব্যবহার করা শুরু করে। বিনা মূল্যে ব্যবহৃত এই সেবার উদ্ভাবন করেছিলেন শেপার্ড ব্যারন।
অধিকাংশ দেশের শুল্ক বিভাগের পুলিশেরা তাদের কুকুরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়। কেউ বর্ডার পার হওয়ার সময় যেন কুকুরগুলো নকল টাকা থাকলে তা জব্দ করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের পেনেসিস শহরে ভ্রমণের সময় ৫ ডলারের বেশি সঙ্গে রাখা সেখানকার মতে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
অ্যাডোবি ফটোশপে একটি বিশেষ ফিচার আছে। কেউ যদি কোনো রকম মুদ্রার ছবি পরিবর্তন করতে চেষ্টা করে, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যারটি বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৩০ সালে ওয়াশিংটনের টেনিনো শহরের মানুষেরা বিষণ্নতার ফলে কাঠের মুদ্রা তৈরি করে।
আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমারে আশির দশকে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। কেননা দেশটির রাষ্ট্রপতি ৯ দিয়ে ভাগ করা যায় না এমন সব মানের মুদ্রা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন।

সূত্র: ন্যাটজিও কিডস