ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো সে তরী

কিছু কিছু বই হাতে নেওয়ার পর মনে হয় পড়ার কী দরকার? বইগুলোর দিকে শুধু তাকিয়েই থাকি! বইগুলো হাতে নিলেই কেমন অদ্ভুত এক ভালো লাগা তৈরি হয়। আর মলাট ওলটানোর পর তো মনে হয়, আহা! চারপাশের সবকিছু এত সুন্দর হয়ে গেল কীভাবে? সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিটা বইয়ের মলাট ওলটাই, লেখাগুলো বারবার উল্টেপাল্টে দেখি। না, বড় কোনো লেখা না, দু–তিন শব্দের কিছু বাক্য, তবু বারবার পড়ি।

কবিতা আর সায়েন্স ফিকশন—এই দুই ধরনের বই আমি সব সময়ই এড়িয়ে চলি৷ কিন্তু ওই যে ‘সোনার তরী’কে ঘিরে একটা ভালো লাগা আছে দেখেই বইটা হাতে নেওয়া। পড়তে গিয়ে অনেক দিন ধরে বইটা নিয়ে বসেছিলাম। টেবিলের পাশে সারাক্ষণ এই বইটা থাকত, অবশেষে পড়া শেষ হলো! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালোত্তীর্ণ কাব্যগ্রন্থের মধ্যে একটি এই সোনার তরী৷ মোট ৪২টি কবিতা এই কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে। ‘সোনার তরী’ কবিতার নামেই এই কাব্যগ্রন্থের নাম রাখা হয়েছে।

কবিতাগুলো পড়ার সময় মনে হবে পুরো চিত্রপটটাই তোমার চোখের সামনে চলে আসছে। পড়ার সময় একঘেয়ে লাগবে না একটুও। সেই সঙ্গে উপমা ও রূপকের মধ্যেও রয়েছে বেশ ‘রহস্য রহস্য’ গন্ধ।’ পড়তে শুরু করো, দেখবে পুরোটা সময় আচ্ছন্ন করে রাখবে সোনার তরী।

আরও পড়ুন