হাআআ করে তাকিয়ে আছে রবিন। তিনটি মশা, দুটি মাছি আর একটি ভিমরুল ঢুকে পড়ল মুখে, টেরই পেল না ও। পেপসোডেন্ট মার্কা দাঁত বের করে হাসছে ওর মামাতো ভাই সাফাত। ফাস্টফুড খেয়ে আরও মোটা হয়ে গেছে।
সাফাত বলল, ‘কিরে হাঁ করে দেখছিস কী? সর সর জায়গা দে, কী গরম। মামি, লেবুর শরবত দেন।’
রবিন বলল, ‘তোর এই অবস্থা কেন? এত মোটা আর কালো হয়ে গেলি যে!’
সাফাতের বোন নিপা বলল, ‘হবে না আবার, সারা দিন খায় আর ঘুরে বেড়ায়।’
আবারও দাঁত বের করে হাসি দিল সাফাত।
গত বছর সামার ভ্যাকেশনে পাশের গ্রামের আম চুরি করে খেয়েছে ওরা। এবার গাছে উঠতে পারবে কি না তাই সন্দেহ। একটু পরই ওরা বের হলো আমবাগানের উদ্দেশে। ওরা থাকতে গাছের মালিক আবার কষ্ট করে আম পাড়বে? তা হয় নাকি?
রবিন সাফাতকে বলল, ‘আয় এ গাছে উঠি।’
‘চল।’
‘নামতে পারবি তো?’
‘কী যে বলিস, এটা কোনো ব্যাপার?’
তুমুল উৎসাহে আম সংগ্রহ শুরু করল ওরা। অনেক আম পাড়ল রবিন। আরও পাড়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু নেমে যেতে হলো ওকে। কারণ ওর আগেই নেমে গেছে সাফাত। অথচ গত বছর নিচে নামতেই ভয় পাচ্ছিল ও। এবার ভয় পাওয়ার সময়ই হলো না ওর, তার আগেই ডাল ভেঙে নিচে নেমে গেল সাফাত। একেবারে কুইক ডাউনলোড।