তুমিই এবার কিআর লেখক

‘ধুর, কিআতে এসব কী লেখা ছাপে, এর চেয়ে ভালো লেখা তো আমিই লিখতে পারি!’— তোমার কি এমন মনে হয়? কিংবা ‘আমি কীভাবে কিআর নিয়মিত লেখক হব?’— এই প্রশ্ন কি মশার মতো ঘুরঘুর করে তোমার মাথায়? কিআর ঠিকানায় আসা শত শত চিঠি এবং ই–মেইলে দেখে আমাদের ধারণা, কিআর নিয়মিত লেখক হতে চায় বিপুলসংখ্যক পাঠক। আমরাও চাই তোমাদের লেখা ছাপা হোক কিআর পাতায়। কিআতে লিখতে লিখতেই তোমরা একেকজন হয়ে ওঠো হুমায়ূন আহমেদ কিংবা মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতো বড় লেখক। তাই তুমি যদি কিআর নিয়মিত লেখক হতে চাও, তাহলে এ লেখা তোমার জন্য।

আমি কীভাবে কিআর নিয়মিত লেখক হব?

কিআর লেখক হওয়া তেমন কোনো জটিল প্রক্রিয়া নয়। নিয়মিত লেখা ছাপা হলেই কিআর নিয়মিত লেখক হয়ে যাবে তুমি। সে জন্য সহজ কিছু নিয়ম মেনে পাঠাতে হবে লেখা।

তার আগে ঠিক করো তুমি কী লিখতে চাও। তুমি কি গল্প পাঠাতে চাও? নাকি ফিচার?

অলংকরণ: রাকিব

গল্প পাঠানোর নিয়ম

তোমার মাথায় যদি দুর্দান্ত কোনো গল্প থাকে, পাঠিয়ে দাও আমাদের কাছে। গল্প পাঠানোর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, যেকোনো সময়ই গল্প পাঠাতে পারো তুমি। ভূত, অ্যাডভেঞ্চার, গোয়েন্দা কিংবা হাসির—পাঠাতে পারো যেকোনো গল্প। তবে গল্পটা অবশ্যই মৌলিক হতে হবে, মানে একেবারেই তোমার নিজের লেখা।

চাইলে বিদেশি কোনো গল্পের অনুবাদ করে পাঠাতে পারো তুমি। সে ক্ষেত্রে অনুবাদের সঙ্গে মূল গল্পটাও পাঠাতে হবে আমাদের। মৌলিক কিংবা অনুবাদ দুই ধরনের গল্পই হতে হবে এক হাজার শব্দের ভেতরে।

ফিচার

গল্প ছাড়াও ফিচার লিখে পাঠাতে পারো তুমি। ফিচার হলো বিষয়ভিত্তিক লেখা। তথ্য বা বিষয়টিকে তোমার নিজের মতো করে, নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে লিখতে হবে লেখাটি। কিশোর আলোতে প্রচুর ফিচার ছাপা হয় প্রতি সংখ্যায়। একটু খেয়াল করলেই বুঝবে কীভাবে লিখতে হয় লেখাগুলো। লেখার সঙ্গে যুক্ত করবে সূত্র, যেখান থেকে তথ্য নিয়ে তুমি লেখাটা লিখেছ। ফিচার লিখতে হবে সর্বোচ্চ ৮০০ শব্দের মধ্যে।

অলংকরণ: রাকিব

এ ছাড়া লিখতে পারো

যেটাই পাঠাও, ই–মেইলের সাবজেক্টে কিংবা খামের ওপর অবশ্যই তা উল্লেখ করবে। যেমন স্কুলের মজার ঘটনা লিখে পাঠালে বিষয় লিখবে ‘স্কুলের মজার ঘটনা’।

লেখা পাঠাব কীভাবে?

লেখা পাঠানো কোনো ব্যাপারই নয়। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ই–মেইলে পাঠানো। লেখাটা ইউনিকোড ফরম্যাটে টাইপ করবে। সাবজেক্টে লিখবে ‘গল্প’ অথবা ‘ফিচার’। তারপর ই–মেইলের বডিতে পেস্ট করে দেবে পুরো লেখাটা। নিচে লিখবে তোমার নাম, মুঠোফোন নম্বর, ক্লাস, স্কুলের নাম ও ঠিকানা। তারপর সেন্ড করে দেবে কিশোর আলোর মেইলে।

কিশোর আলোর ই–মেইল: [email protected]

ডাকে পাঠালে হাতে লিখে বা টাইপ করে ঠিক নিচের লেখাটার মতো করে পাঠাতে হবে:

তোমার যদি মনে হয় টাইপ করা, ই–মেইল করা খুব ঝামেলার কাজ, তাতেও অসুবিধা নেই। হাতে লিখেও পাঠাতে পারো তুমি। সে জন্য এ-ফোর আকৃতির সাদা কাগজে লিখে পাঠাবে লেখাটা। গল্প এক পাতায় শেষ না হলে একাধিক পাতা ব্যবহার করতে পারো। সেক্ষেত্রে সাদা কাগজের এক পিঠে লিখবে, অন্য পিঠ খালি রাখবে। অর্থাৎ এপিঠ-ওপিঠ দুপাশেই লিখবে না।

খামের ওপর লিখবে—

গল্প/ফিচার
কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।