দুঃখ

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

সেদিন ছিল সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ। ভাবতে ভালোই লাগছিল আমি আবার স্কুলে যাব। সেই প্রিয় বন্ধু, সেই প্রিয় শিক্ষক—সবার সঙ্গে আজ দেখা হবে। হোক না দেড় ঘণ্টার ক্লাস। সেটাও কি কম? হোক না সপ্তাহে এক দিন, সেটাও কি কম? সেদিন ভেবেছিলাম, স্কুলে গিয়ে চিৎকার দেব, ‘স্কুল খুলেছে, সবাই স্কুলে এসো।’ কিন্তু সেই ইচ্ছাটা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল! ম্যাম তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রটা ব্যবহার করে বললেন, তোমার তাপমাত্রা বেশি। তুমি স্কুলে ঢুকতে পারবে না। আমি কিছুক্ষণের জন্য যেন অন্য একটা পৃথিবীতে চলে গেলাম। আমার আর ওই দিন স্কুলে ঢোকা হলো না। বাবা আমাকে করোনা টেস্ট করালেন। টেস্টের রিপোর্ট এল করোনা পজিটিভ। আমি হাসপাতালে ভর্তি  হলাম। হাসপাতালের দিনগুলো কাটল নানা অস্বস্তি আর স্কুলে ফেরার অধীর আগ্রহে। এক মাস পর আমি সুস্থ হলাম।

২১ অক্টোবর ২০২১, স্কুলে গেলাম। অধিকাংশ শিক্ষকই আমাকে চিনতে পারলেন না। যাঁরা চিনলেন, তাঁরাও আবছা আবছা। তাতে তেমন কিছু মনে হয়নি। কিন্তু খারাপ লাগল যখন দু-একজন বন্ধু ছাড়া কেউ আমাকে চিনতে পারল না। মনে হলো এরা কেউ আমার কাছের নয়।

হয়তো একেই বলে দুঃখ।

লেখক: চতুর্থ শ্রেণি, যশোর জিলা স্কুল, যশোর