দুই শিশুর গল্প

কিশোর আলোর জুন সংখ্যার প্রচ্ছদ
অলংকরণ: আরাফাত করিম

একদিন দুই শিশুর দেখা হলো পার্কে, গাছের নিচে। এক শিশুর কাছে ছিল কতগুলো মার্বেল। আরেক শিশুর কাছে ছিল কিছু চকলেট। মার্বেল দেখে দ্বিতীয় শিশু বলল, বাহ্‌, তোমার মার্বেলগুলো তো খুব সুন্দর। প্রথমজন বলল, তোমার চকলেটগুলো না জানি কতই মজার! দ্বিতীয়জন বলল, এসো আমরা একটা কাজ করি। তুমি আমার চকলেটগুলো নাও আর আমাকে দাও তোমার সুন্দর মার্বেলগুলো। আচ্ছা, প্রথমজন বলল, খুব ভালো হবে। সব কটি চকলেট দিতে হবে কিন্তু! আর আমিও তোমাকে তো দেব সব মার্বেল। দ্বিতীয়জন সব চকলেট তুলে দিল প্রথমজনের হাতে। আর প্রথমজন দুটি মার্বেল লুকিয়ে রাখল পকেটে। বাকিগুলো তুলে দিল অপরজনের হাতে। মার্বেলগুলো নিয়ে দ্বিতীয়জন আরামে ঘুমিয়ে পড়ল। আর চকলেটগুলো নিয়ে পকেটের বাকি মার্বেল দুটি বের করে প্রথমজন প্রথমে কিছুক্ষণ খেলল। তারপর চকলেটগুলো খেল। তারপর তার মাথায় প্রশ্ন দেখা দিল, আমি তো দুটি মার্বেল সরিয়ে রেখেছি, ও না জানি কতগুলো চকলেট লুকিয়ে রেখেছিল। ইশ্‌, চকলেটগুলো কী সাংঘাতিক মজা! সে আর রাতে ঘুমাতে পারল না।

এই গল্প থেকে আমরা বুঝি, শান্তি পেতে হলে দেওয়ার বেলায় এগিয়ে থাকতে হয়। তুমি যদি ‘ডিল’-এর সময় নিজে অন্যকে ঠকাও, তাতে অন্যের চেয়ে নিজের মনেই অশান্তি বাড়ে। তখন তুমি অন্যকেও সন্দেহ করতে থাকো। যে নিজে ঠকায়, সেই সন্দেহের আগুনে জ্বলে। আর যার হাত পরিষ্কার, তার অন্তরও পরিষ্কার থাকে।

তাহলে আবারও বলি, দেওয়া আর নেওয়ার পালায় দেওয়ার বেলায় এগিয়ে থাকবে। আমরা সবাই যদি এই নীতি নিয়ে চলি, বেশি দিতে চাই, কম পেতে চাই, তাহলে পৃথিবীতে আর কোনো সমস্যাই থাকবে না।