ধন্যবাদ ডাক বিভাগের আঙ্কেল-আন্টি!

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক
  • প্রিয় কিআ

    অবসর সময়ে আমার দুটি কাজ। প্রথমটি হলো কিআ পড়া, আর দ্বিতীয়টি গাছের যত্ন নেওয়া। আমাদের বাসার বারান্দায় ছোট পরিসরে আমি কিছু গাছ লাগিয়েছি। আমি তাদের যত্ন করি। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। আমার প্রথম বন্ধু তুমি, আর দ্বিতীয় বন্ধু হলো আমার গাছেরা। আমার একটা আবদার আছে। আমি চাই, তুমি এমন একটা সংখ্যা ছাপাও, সেখানে শুধু গাছের বিষয়ই থাকবে। মানবে তুমি? তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ভালো থেকো।

    সুরাইয়া ইসলাম

    কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাবনা

    কিআ: তোমার চিঠিটা পড়ে খুব ভালো লাগল সুরাইয়া। এত অল্প বয়সে গাছের প্রতি তোমার ভালোবাসা সত্যিই মুগ্ধ করার মতো একটা ব্যাপার। তোমার কি অনেক গাছ আছে? সেগুলোর সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেবে না? তোমার জন্য অবশ্যই আমরা গাছ নিয়ে একটা সংখ্যা করব। তুমি আর তোমার গাছেরা খুব ভালো থেকো।

  • প্রিয় কিআ

    আচ্ছা, তুমি আমার চিঠি কখনো ছাপো না কেন? আমি তো খুব কষ্ট পাই, তাই না? তুমি কি তোমার এই নিয়মিত পাঠককে কষ্ট দিতে চাও? জানো, আমার না গুড্ডুবুড়ার গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে। তুমি সব সময় গুড্ডুবুড়ার গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে। তুমি সব সময় গুড্ডুবুড়ার গল্প ছাপবে। আর জানো, আমি বড় হয়ে ক্রিকেটার হতে চাই। তুমি ক্রিকেট সম্পর্কে একটা সংখ্যা দাও তো! ভালো থেকো।

    তানজিম ইয়াছির

    খুলনা জিলা স্কুল, খুলনা

    কিআ: আমরা তো কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। কিন্তু শুধু চিঠি ছাপতে গিয়ে গল্প-উপন্যাস-কমিকস যদি না ছাপি তখন কি তোমার ভালো লাগবে, বলো? তাই একটু বাছাই করে ছাপি আরকি। আশা করি তুমি অনেক বড় ক্রিকেটার হবে একদিন। তখন উল্টো আমরাই তোমাকে বারবার চিঠি লিখে বলব, ‘প্রিয় তানজিম, আমরা কিআ, ছোটবেলায় তুমি এই ম্যাগাজিন পড়তে। একটা সাক্ষাৎকার দেবে আমাদের?’

  • প্রিয় কিআ

    তোমাকে যে কী বলে ধনব্যাদ জানাব, ভাষাটাই খুঁজে পাচ্ছি না। বিশ্বাসই করতে পারছি না যে তুমি আমার লেখা ছেপেছ। আমি যে কত্ত খুশি! তুমি জানতে চেয়েছ, আমাদের গ্রামে জোনাকি পোকা আছে কি না। অনেক জোনাকি পোকা আমাদের গ্রামে। মস্ত বড় খোলা মাঠ আছে। সেখানে গ্রামের ছেলেমেয়েরা ঘুড়ি ওড়ায়। বাড়ির পেছনে বিল আছে। বর্ষায় আমরা ডিঙি নৌকায় ঘুরে বেড়াই। সবুজ মাঠ আছে। আছে ছোট ছোট বাঁশবাগান আর মাটির ঘর। এই তো, আর কিছুদিন পরই শর্ষের ফুলে ফুলে হলুদ হয়ে যাবে আমাদের সবুজ মাঠ। মৌমাছিরা দল বেঁধে সংগ্রহ করবে মধু। কী যে ভালো লাগে দেখতে! তুমি না দেখলে বিশ্বাসই করবে না!

    চলে এসো না আমাদের গ্রামে। তোমার নিমন্ত্রণ রইল গ্রামে এসে শর্ষে ফুলের মধু খাওয়ার। দেখো, শর্ষের ফুলে ভরা মাঠ দেখলে চোখ দুটোই জুড়িয়ে যাবে তোমার।

    তুমি কিন্তু সাবধানে থাকবে। অসুস্থ হয়ে পড়ো না আবার। খুব শীত তো এখন, তাই। ভালো থেকো।

    প্রিয়া মণ্ডল

    ধনেশ্বরগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাগুরা

    কিআ: প্রিয়া, কী সুন্দর করে যে পুরো গ্রামের বর্ণনাটা দিলে! মনে হলো চোখের সামনে পুরো গ্রামটা দেখতে পাচ্ছি আমি। পড়েই তো লোভ হচ্ছে তোমাদের গ্রামে যাওয়ার। তুমি নিয়মিত লেখো। তোমার গ্রাম, জোনাকি, সবুজ মাঠ, টলটলে বিল, ডিঙি নৌকা–এগুলো নিয়েই কিন্তু গল্প লিখতে পারো তুমি। আর ফিচার লেখা তো তোমার জন্য কোনো ঘটনাই না। নিয়ম পাবে এই লিংকে। লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক
  • প্রিয় কিআ

    আজ আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই ডাক বিভাগে কর্মরত সব আঙ্কেল-আন্টিকে। তার সঙ্গে অবশ্যই দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব পোস্টবক্সকে। তুমি একবার ভাবো তো, তারা না থাকলে আমরা তোমায় চিঠি পাঠাতাম কী করে? চিঠি যে কী, তা হয়তো ভুলেই বসেছিলাম। তখন চিঠি বন্দী থাকত শুধু পরীক্ষার খাতাতেই। তাই চলো, সবার জন্য জোরে একটা হাততালি হয়ে যাক!

    তাছমিয়া জাহান

    ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঝালকাঠি

    কিআ: আরে তাই তো! এভাবে তো ভেবে দেখিনি! সবাই কিআ রেখে এখনই জোরে হাততালি দিই চলো! ১...২...৩...শুরু!