নাচতে না জানলে

অলংকরণ: জুনায়েদ

পলাশীর যুদ্ধের কাহিনি নিয়ে নাটক হবে স্কুলে। শিহাব নামে এক সিনিয়র ভাই জোর করে সিরাজউদ্দৌলা চরিত্রে অভিনয় করবেনই করবেন। বড় ভাইয়ের হুমকির কারণে ছোটরা উনাকে নাটকে নিতে বাধ্য হলো।

নাটকের দিন। বাইরের নানা স্কুল নাটক দেখতে হাজির। সব ঠিকঠাক। যথাসময়ে নাটক শুরু হলো। গন্ডগোল শুরু করল শিহাব ভাই। ‘আমি বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব...।’ বলতে বলতে হঠাত্ সে নামটা ভুলে গেল। পর্দার পাশ থেকে একজন ফিসফিসিয়ে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ বলতে থাকল। কিন্তু ভাইয়া তো শুনতে পারছে না! পর্দার পাশের ছেলেটির দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে বলা শুরু করল, ‘কী বলস? কী নাম?... বুঝি না... আবার বল...কী?’। দর্শক তো এ দৃশ্য দেখে টাশকি খায়। কেউ খায় পপকর্ন। শুধু এখানেই শেষ নয়। ইতিহাস অনুসারে সিরাজকে হত্যা করার পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শিহাব ভাই মৃতের ভূমিকা পালন করতে থাকেন। সব নিথর, চুপচাপ। হঠাত্ সে মৃত অবস্থায় প্রথম কাশি দিল। তারপর দ্বিতীয়, এরপর তৃতীয় কাশি—এ রকম টানা ১০টি কাশি। এরপর হঠাৎ সে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ‘ধুউউর! এত ময়লায় নাটক করা যায় নাকি? উফফ।’ এই বলে সে প্রস্থান করল। তার পর তার দেখাদেখি সকলেই প্রস্থান করল। দর্শক অতি উৎফুল্লে হাততালি দিতে থাকল।