পাবলো পিকাসো, দাদি এবং অন্যান্য

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
  • এক ধনাঢ্য ব্যক্তি একবার পাবলো পিকাসোকে মোটা অঙ্কের টাকা দিলেন তাঁর স্ত্রীর ছবি এঁকে দেওয়ার জন্য। পিকাসো এঁকে দিলেন। ছবি দেখে ধনাঢ্য ব্যক্তিটি খুবই বিরক্ত হলেন এবং বললেন, ‘এটা মোটেও আমার স্ত্রীর মতো হয়নি।’ পিকাসো বললেন, ‘তাহলে কেমন আঁকা উচিত ছিল?’ ধনাঢ্য ব্যক্তি পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করলেন এবং তাঁর স্ত্রীর একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি বের করে দেখালেন। পিকাসো ছবিটি ফিরিয়ে দিতে দিতে বললেন, ‘হুঁ, ছোট করে আঁকতে হবে, তাই তো?!’

  • দাদি: যা-ই বলিস! আমাদের সময় গানগুলো ছিল অনেক বেশি মেলোডিনির্ভর।
    নাতনি: দাদি! এটা গান বাজছে না! মিক্সচার মেশিন দিয়ে হালকা একটু কাজ করছিলাম।

  • একটি প্রদর্শনীর আয়োজক বলছেন একজন চিত্রশিল্পীকে, ‘আপনার জন্য একটি সুসংবাদ এবং একটি দুঃসংবাদ আছে।’
    চিত্রশিল্পী: বলুন, শুনি।
    আয়োজক: গতকাল সন্ধ্যায় এক লোক এসেছিল প্রদর্শনীতে। সে আমাকে ডেকে আপনার আঁকা ছবিগুলো দেখিয়ে বলল, ‘এই লোকের মৃত্যুর পর তাঁর আঁকা ছবিগুলোর দাম কেমন হতে পারে?’ আমি বললাম, ‘অবশ্যই খুব চড়া দাম হবে।’ লোকটা আমার উত্তরে সন্তুষ্ট হয়ে আপনার আঁকা ১৫টা ছবিই কিনে নিয়ে গেল।
    চিত্রশিল্পী: বাহ্! এ তো দারুণ খবর।
    আয়োজক: আর দুঃসংবাদটাও শুনুন। লোকটা সম্ভবত আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

  • ভাতিজা তার বড়লোক চাচার বাসায় এসেছে।
    ভাতিজা: চাচা, একটা কথা বলব?
    চাচা: বলো, কিন্তু কম কথায় স্পষ্ট করে বলবে।
    ভাতিজা: ১০০ টাকা।

  • ছোট বোন: ভাইয়া, মা বলেছেন তুমি কয়টা মাছ ধরেছ, তা বলতে।
    বড় ভাই: মাকে গিয়ে বলগে, আর মাত্র ৯৯টা মাছ ধরতে পারলেই সেঞ্চুরি হয়ে যাবে।

  • মফস্বল শহরে বেড়াতে এসে একজন টুরিস্ট একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকল। ঢুকে সে দুটো সেদ্ধ ডিম আর চায়ের অর্ডার দিল। খাওয়া শেষে তাকে বলা হলো, বিল ২৫ টাকা। টুরিস্ট বলল, এত দাম ডিমের? তোমাদের এখানে কি ডিম পাওয়া যায় না? ওয়েটার বলল, ডিম পাওয়া যায়, কিন্তু টুরিস্ট পাওয়া যায় না।