পোস্ট অফিস, বার্ষিক পরীক্ষা এবং অন্যান্য

অলংকরণ : সব্যসাচী চাকমা
  • বল্টু পোস্ট অফিসে গিয়ে পোস্টমাস্টারকে বলল—
    আহনাফ: স্যার ২০ পয়সার ৯টি টিকিট, ২৫ পয়সার ৩টি টিকিট এবং ৪০ পয়সার একটি টিকিট নিলে মোট কত টাকা লাগবে?
    পোস্টমাস্টার সব কটি টিকিট বল্টুর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন—
    পোস্টমাস্টার: মোট হয়েছে দুই টাকা পঁচানব্বই পয়সা। এই নাও তোমার টিকিট।
    বল্টু: টিকিট লাগবে না।
    পোস্টমাস্টার: তাহলে টিকিটের দাম জিজ্ঞেস করলে কেন?
    বল্টু: স্কুলে ম্যাডাম আজ এই অঙ্কটা করে আনতে বলেছিলেন। পারছিলাম না তো, তাই আপনাকে দিয়ে করিয়ে নিলাম।

  • জেলখানায় দুজন কয়েদি কথা বলছে।
    প্রথম কয়েদি: তোমার জেল হয়েছে কেন?
    দ্বিতীয় কয়েদি: একটা কোট চুরি করেছিলাম।
    প্রথম কয়েদি: কিন্তু আমি যে শুনলাম তুমি কিডন্যাপ কেসের আসামি?
    দ্বিতীয় কয়েদি: লোকটাকে কোট থেকে বের করতে ভুলে গিয়েছিলাম।

  • একদিন বিপুল স্কুল থেকে তাড়াতাড়ি চলে এল। এই দেখে তার মা তাকে জিজ্ঞেস করে, এত আগে বাড়ি এলে যে?
    বিপুল বলে, কারণ ক্লাসে আমি একাই প্রশ্নটির উত্তর দিতে পেরেছি।
    মা বলেন, বাব্বাহ, আমার ছেলেটা তো জিনিয়াস! তা কী প্রশ্ন করা হয়েছিল তোকে?
    হেডস্যারের মাথায় কে ময়লার ঝুড়ি ফেলেছে? বিপুল জানায়।

  • স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলো। পরীক্ষার হলে এক ছাত্রী জোরে জোরে কাঁদছে।
    শিক্ষক: তুমি কাঁদছ কেন?
    ছাত্রী: আমার রচনা কমন পড়েনি।
    শিক্ষক: কেন? কী এসেছে?
    ছাত্রী: এসেছে ‘ছাত্রজীবন’। স্যার, আমি তো ছাত্রী। ‘ছাত্রজীবন’ লিখব কীভাবে।

  • : এই যে চা খেলেন, এটা একেবারে দার্জিলিং স্পেশাল।
    : বোধ হয় এই জন্যই এত ঠান্ডা।

  • অ্যান্টিক দোকানের মালিক: আমার দোকানে যারা চুরি করতে এসেছিল, তারা অ্যান্টিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।
    পুলিশ: কী করে বুঝলেন?
    অ্যান্টিক দোকানের মালিক: তারা কিছুই নেয়নি।