প্লেটো, মহাত্মা গান্ধী এবং অন্যান্য

  • একবার ট্রেনে ওঠার সময় মহাত্মা গান্ধীর এক পাটি জুতা খুলে পড়ে গেল। ট্রেন ততক্ষণে চলতে শুরু করেছে। নেমে জুতাটা তুলে নেওয়ার উপায়ও নেই। গান্ধী চটজলদি তাঁর আরেক পায়ের জুতাও খুলে ফেলে দিলেন। সহযাত্রীরা অবাক হয়ে এর কারণ জানতে চাইলেন। গান্ধী বললেন, কোনো গরিব লোক হয়তো জুতাটা খুঁজে পাবে। এক পায়ের জুতা পেয়ে তো তার কোনো লাভ নেই। তাই দুই পায়েরটাই দিয়ে গেলাম।

  • এক শিক্ষক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করল, বিন্দু লম্বা নাকি রেখা লম্বা? তখন ছাত্র বলে দিল বিন্দু লম্বা, রেখা খাটো। তখন শিক্ষক জানতে চাইল, কীভাবে, সেটা প্রমাণ করে দেখাও।
    ছাত্র: আমার বড় আপু বিন্দু আমার ছোট বোন রেখার চেয়ে লম্বা।

  • বিটলস ব্যান্ডের সদস্যদের একবার এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, ‘আপনারা কি মাথায় পরচুলা পরেন?’
    ব্যান্ডের পক্ষ থেকে উত্তর এল: না, যদি পরতাম, তাহলে আমাদের চুলই হতো বিশ্বের প্রথম নকল চুল, যাতে আসল খুশকি রয়েছে।

  • তানিয়া আর রাইসা গেছে কফিশপে কফি খেতে।
    তানিয়া: তাড়াতাড়ি শেষ কর, তোর কফি ঠান্ডা হচ্ছে।
    রাইসা: কেন? সমস্যা কী?
    তানিয়া: আরে বুদ্ধু, মূল্য তালিকাটা দেখলেই বুঝবি। এই দেখ এখানে লিখা হট কফি ২৫ টাকা, কোল্ড কফি ৫০ টাকা!

  • প্লেটো একবার বললেন, মানুষ হলো একটি পালকবিহীন দুই পাবিশিষ্ট প্রাণী। এর ঠিক কিছুদিন পর এক গবেষক একটি পালকবিহীন মুরগি নিয়ে প্লেটোর ক্লাসে এসে হাজির। বললেন, দেখো দেখো! এই হলো প্লেটোর সংজ্ঞানুযায়ী মানুষ!

  • একবার ভুলবশত একটি পত্রিকায় প্রখ্যাত লেখক রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের মৃত্যুসংবাদ ছাপা হলো। পরদিন রুড ইয়ার্ড পত্রিকা অফিসে ফোন করে বললেন, আপনাদের পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম যে আমার মৃত্যু হয়েছে। অতএব দয়া করে আগামীকাল থেকে আপনাদের পত্রিকার গ্রাহক তালিকা থেকে আমার নামটা বাদ দেবেন।