ফুটবল কোচ, আম্পায়ার এবং অন্যান্য

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
  • মনোবিজ্ঞানের ক্লাস চলছে। শিক্ষক বললেন, ‘ধরো, একটা লোক কিছুক্ষণ চুপচাপ চেয়ারে বসে থাকেন। হঠাৎ লাফিয়ে উঠে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন, লাফালাফি করেন, হাত-পা ছোড়াছুড়ি করেন। কিছুক্ষণ পর আবার বসে পড়েন। এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের মন্তব্য কী?’
    পেছন থেকে এক ছাত্র বলল, ‘তিনি নিশ্চয়ই একজন ফুটবল কোচ।’

  • গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচের আগে একজন ক্রিকেটারকে নিজের রুমে ডেকে নিলেন অধিনায়ক। বললেন, ‘তুমি তো জানো, আমাদের সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। যে করেই হোক, পরের ম্যাচে বিজয় আমাদের চাই। তাই আমাদের এমন একজনকে দরকার, যার আছে দৃঢ় মনোবল। কঠিন সময়ও যে ভেঙে পড়ে না। শক্ত মন নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি সামলে নিতে পারে। আমার বিশ্বাস, তুমিই সেই লোক। ইয়ে মানে আগামী ম্যাচটা তুমি খেলছ না।’

  • এক গিটারবাদক অনেকক্ষণ গিটার বাজিয়ে শোনাল তার বন্ধুকে।
    —কেমন বাজালাম বলুন তো?
    বন্ধুটি উত্তরে জানাল, তুমি থামার পর এখন পরিবেশটা বেশ ভালো লাগছে।

  • আম্পায়ারকে বলছেন একজন খেলোয়াড়, ‘স্যার, আমি যদি মনে মনে বলি, আপনাকে একটা খারাপ কথা বলি, তাহলে কি আমার সাজা হবে?’
    একটুখানি ভেবে নিয়ে আম্পায়ার বললেন, ‘না তো।’
    খেলোয়াড়: ও। বাঁচলাম।

  • পরিচিত রেস্টুরেন্টে খাওয়া শেষে খদ্দের ওয়েটারকে ডেকে বলল, ‘তোমাদের আগের বাবুর্চিটা মারা গেছে, তাই না?’ ওয়েটার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি কী করে জানলেন, স্যার? খাবার কি খারাপ হয়েছে?’ খদ্দের জবাব দেয়, ‘না, খাবার ঠিকই আছে। তবে আগে সাদা চুল পেতাম, ইদানীং কালো চুল পাচ্ছি।’