‘বাংলাদেশ অনুরোধ মন্ত্রণালয়’ কর্তৃক অনুমোদিত অনুরোধ

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

আমি আপনার একজন পুরোনো পাঠক। আজ আমি আপনার নিকট ‘বাংলাদেশ অনুরোধ মন্ত্রণালয়’ কর্তৃক অনুমোদিত একটি অনুরোধ নিয়ে হাজির হয়েছি।

এই বয়সে আমাদের শরীরে সঠিক গঠন ও বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমিসহ বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। আপনিও যদি আমাদের সঙ্গে একমত হয়ে থাকেন, তবে আমাদের সবার কথা ভেবে আগামী সংখ্যায় শারীরিক ব্যায়ামের নিয়মাবলি নিয়ে একটা ফিচার ছাপানোর অনুরোধ করছি।

মুহাম্মদ রাফিদ ইসলাম

সপ্তম শ্রেণি, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল

মহাসচিব, বাংলাদেশ অনুরোধ মন্ত্রণালয়

কিআ: জনাব মুহাম্মদ রাফিদ ইসলাম, চিঠির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার অনুরোধ অনুযায়ী অবশ্যই ব্যায়ামবিষয়ক ফিচার প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ (মতান্তরে আদেশ) তো আর হেলাফেলা করা যায় না। পাশাপাশি আপনার কাছে আমার একটা পাল্টা অনুরোধ আছে। প্রতিদিন অসংখ্য অনুরোধ আসে কিআ কার্যালয়ে। এত অনুরোধে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এ অবস্থায় আপনার অনুরোধ মন্ত্রণালয় যদি আমাদের হয়ে অনুরোধগুলো পর্যালোচনা করে, তবে দেশ ও জাতির খুব উপকার হবে। ভেবে দেখবেন।

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

অ্যাই, তুমি বিজ্ঞান প্রজেক্ট ক্লাব চালু করো। যেখানে প্লে ক্লাস থেকে প্রাইমারি ক্লাসও অংশগ্রহণ করতে পারবে। এই চিঠি না ছাপলেও আমার সমস্যা নেই। কিন্তু বিজ্ঞান প্রজেক্ট ক্লাব চালু না করলে অনেক সমস্যা আছে। আর কিআর পৃষ্ঠাও বাড়াতেই হবে।

আবদুল্লাহ তাহমিদ

তৃতীয় শ্রেণি, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা

কিআ: বাপরে! এত কঠিন আদেশ! কিন্তু ভাই, বিজ্ঞান প্রজেক্ট ক্লাব চালু করতে হলে তো তোমাদের সাহায্য লাগবে। একা একা কি ক্লাব হয়? আর প্রতিটি স্কুলেই তো বিজ্ঞান ক্লাব আছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের ক্লাবের কাজটা কী হবে, সেটাও তো ভেবে ঠিক করতে হবে, তাই না? সেগুলো লিখে পাঠাও। আর তার আগে চলো তুমি আমি মিলে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করি। কী বলো?

প্রিয় কিআ,

আমি যখন কিআ পাই, তখন ভাবি কোনটা আগে পড়ব। কারণ, তুমি এত সুন্দর করে কমিকস, গল্প, উপন্যাস...ছাপাও, ইচ্ছে করে সব একসঙ্গে পড়ে ফেলতে। কিন্তু সব তো একসঙ্গে পড়া সম্ভব নয়। একে একে সব পড়তে হয়। প্লিজ, আমাকে একটু সাহায্য করো। আর জানো, আগে আম্মু বলত, ‘বেশি কিশোর আলো পড়তে হবে না। নিজের পড়া পড়ো।’ তাই আমি জোর করে আম্মুকে কিআ পড়তে বসিয়ে দিলাম। এরপর থেকে আম্মু নিজেই কিআ পড়তে বসে যায়। এ জন্য আমার আর আম্মুর মধ্যে কিআ নিয়ে টানাটানি হয়। ভালো থেকো কিআ।

আফিফা বিনতে আজাদ

অষ্টম শ্রেণি, রাউজান আর. আর. এসি. মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

কিআ: আমি মনে করি, তোমার একেবারে সম্পাদকীয় দিয়ে পড়া শুরু করা উচিত। এরপর সূচিপত্র অনুযায়ী একের পর এক লেখা পড়তে থাকবে। এরপরও যদি সমস্যা হয়, তাহলে টস করবে। কয়েন দিয়ে টস নয়। চোখ বন্ধ করে কিআর যেকোনো একটা পাতা খুলে পড়া শুরু করবে। ব্যস, তাহলেই হবে। আরেকটা কথা, আম্মুর সঙ্গে কিআ টানাটানি একটু আস্তে কোরো, কিআ ব্যথা পেতে পারে। তোমাকে আর তোমার আম্মুকে কিআর সবার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। ভালো থেকো।

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

আচ্ছা, তুমি এত পচা কেন? তুমি কেন একটা ঝগড়া সংখ্যা ছাপাও না? জানো না, আমি ঝগড়া অনেক পছন্দ করি? তাই আমি চাই এর পরের সংখ্যা যেন ঝগড়া নিয়ে হয়। আমি একটা ঝগড়াযুক্ত পৃথিবী চাই। আমাদের সবার উচিত প্রতিটি মানুষকে ঝগড়াটে হওয়ার উপদেশ দেওয়া।

জারিন আফরা

৬ষ্ঠ শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: মানে কী? ফাজলামো পেয়েছ? কী ভেবেছ? কিআ কি ঝগড়ার জায়গা? একটা কথা সাফ বলে দিচ্ছি, ঝগড়া আমরা একদম পছন্দ করি না, বুঝেছ? কিন্তু কেউ যদি ঝগড়ার চেষ্টা করে, তাহলে আমরাও ছেড়ে কথা বলি না। পাল্লা দিয়ে ঝগড়া করি, হু! এই যেমন এখন তোমার সঙ্গে করলাম!

প্রিয় কিআ,

অনেক বড় সমস্যায় পড়েছি। সমস্যাটা হলো পরিবার আদালত। পরিবার আদালত হলো সেই আদালত যে আদালতে পরিবারের মেজ সদস্যদের গুরুতর শাস্তি প্রদান করা হয়। এ আদালতে অভিযোগকারী হলো আমার ছোট বোন। উকিল আব্বু। আপু পুলিশ আর জজ আমার আম্মু। আর আমি আসামি! সবচেয়ে বড় দুঃখের বিষয় হলো তাঁরা সবাই আমার বিপক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করে আর রায় দেন। এ আদালতের শাস্তি অনেক গুরুতর। যেমন যাবজ্জীবন পড়াশোনা—ভদ্র থাকতে হবে, সবার সঙ্গে মিশতে হবে, কথা বলতে হবে, অল্প খাওয়া যাবে না, সব সময় বেশি বেশি খেতে হবে। দেখলি কিআ, কী অন্যায় শাস্তি? তাই কিআ তুই কি আমার উকিল হবি? চিঠির উত্তরে জানাবি হবি কি না। আর এ আদালত থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় থাকলে বলিস। ভালো থাকিস।

ইতি তোর আপু

ফারিহা সুলতানা

কিআ: ফারিহা আপু, আদালতটাকে তো বেশ কিউট মনে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, যাবজ্জীবন পড়াশোনা ছাড়া বাকিগুলো তো কোনো শাস্তিই নয়। যেমন ধরো, সবার সঙ্গে মিশতে হবে—এটা তো দারুণ ব্যাপার। সবচেয়ে মজা হচ্ছে সব সময় বেশি বেশি খেতে হবে—এটা। আচ্ছা, কোন ধারার অপরাধে এই শাস্তি দেওয়া হয় বলো তো। আমি তাহলে সেটাই করতাম। জানোই তো, তোমার আমার সবার, বেশি বেশি দরকার! ফলে আমি তোমার উকিল হতে পারছি না, বরং আমিও একই অপরাধগুলো করে শাস্তি পেতে চাই—শুধু যাবজ্জীবন পড়াশোনার শাস্তিটা বাদে।