বীরবলের একটা গল্প

কিশোর আলোর আগস্ট সংখ্যার প্রচ্ছদ
অলংকরণ: সাদাত

এক লোক তাঁর কুয়াটা বিক্রি করল আরেক লোকের কাছে। যে কিনল, সে কুয়া থেকে যখন পানি তুলতে গেল, বিক্রেতা বলল, ‘তুমি পানি তুলতে পারবে না। কুয়া বিক্রি করেছি, কিন্তু পানি তো বিক্রি করিনি।’

ক্রেতা তখন গেল বাদশাহর কাছে। বিচার দিল। বাদশা বীরবলকে পাঠালেন ঘটনার বিচার করতে।

বীরবল বিক্রেতার কাছে গিয়ে বললেন, ‘তুমি কেন একে কুয়ার পানি নিতে দিচ্ছ না? তুমি কি কুয়াটা একে বিক্রি করে দাওনি?’

‘আমি কুয়া বিক্রি করেছি। কিন্তু পানি বিক্রি করিনি।’

‌‘ঠিক আছে। তাহলে ওর কুয়াতে তোমার পানি তুমি রাখতে পারবে না। যদি রাখো, তাহলে তোমাকে ভাড়া দিতে হবে। আর ভাড়া না দিতে চাইলে সব পানি তুলে নিয়ে নিজের জায়গায় রাখো।’

বিক্রেতা বুঝল, কুয়ার পানি কখনো শেষ হবে না। পানি সরিয়ে রাখা অসম্ভব। আর পানি রাখার জন্য ভাড়া দিতে হলে সে ফতুর হয়ে যাবে। সে ক্রেতাকে পানি নেওয়ার অনুমতি দিল।

বীরবল বললেন, ‘এত দিন পানি রেখেছ, তার ভাড়া দিয়ে যাও।’

‘আমি ক্ষমা চাই।’ বলে বিক্রেতা ক্ষমা চেয়ে পালিয়ে গেল।

চালাকি করে শেষ পর্যন্ত কোনো লাভ নেই। চালাকি করে মানুষের ক্ষতি করতে গেলে শেষ পর্যন্ত সফল হওয়া যায় না।