ভালো থেকো

প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে প্রথম আসি ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তখন বড় ম্যাম (মনোয়ারা ম্যাডাম, প্রধান শিক্ষিকা) আব্বুকে বলেন পরের বছর ভর্তি করানোর জন্য। তারপর ২০১৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে যাই। বাঁধা পড়ি মায়ার এক অদৃশ্য বন্ধনে। সে বন্ধন এখনো ছিন্ন হয়নি। কিন্তু আর কয়েক মাস পরই স্কুলটা ছেড়ে চলে যেতে হবে। রেখে যেতে হবে প্রিয় ক্লাসরুম, সহপাঠী আর শিক্ষকদের। যখন ভর্তি হই, তখনো জানতাম না এতটা আপন হবে স্কুলের মানুষগুলো। স্কুলে আমি পেয়েছি প্রাণের চেয়েও প্রিয় কিছু বন্ধু। আর মাত্র কিছুদিন। তারপর আর কি দেখা হবে বন্ধুদের সঙ্গে? যেমনটা এখন হয় প্রতিদিন। সবকিছুই ছেড়ে চলে যেতে হবে। প্রিয় ক্লাসরুম, প্রিয় শিক্ষকদের হাতে মার খাওয়া, বকা শোনা, স্কুল পালানো, ভাগাভাগি করে টিফিন খাওয়া...সব। তবে রয়ে যাবে কিছু অমূল্য স্মৃতি। যা চিরকালই থাকবে মনের ভেতরে। ভালো থেকো প্রাণের বিদ্যাপীঠ প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুল!

(কিশোর আলোর অক্টোবর ২০১৭ সংখ্যায় প্রকাশিত)