মন ভালো করার উপায় ও অন্যান্য

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক
  • প্রিয় কিআ

    আশা করি ভালোই আছ। আমিও বেশ ভালো আছি। ২০১৮ সালের জুলাই সংখ্যা থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর সংখ্যা পর্যন্ত তোমার প্রতিটি সংখ্যা আমার ভালো লেগেছে। কিন্তু এরপর আমি তোমাকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কারণ, আমি ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। পরীক্ষার আগমুহূর্তে অনেক চাপের কারণে তোমার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা শেষে নানা কারণে বেশ ব্যস্ত ছিলাম। এরপর এল এক ভয়ানক মহামারি, লকডাউনের সেই তিন-চার মাস আমার অনেক খারাপ কেটেছে। লকডাউন শেষ হওয়ার পরপরই কলেজের অ্যাডমিশন, কলেজে ভর্তি হওয়া, অনলাইন ক্লাস এবং এক্সাম নিয়ে বেশ ব্যাস্ততায় কাটছে আমার দিনকাল। তাই ভাবলাম ২০২১ সাল আমি তোমাকে দিয়ে শুরু করব। আর ভুলব না আমি তোমাকে। আমি বেশ দুঃখিত। প্রিয় কিআ এভাবেই সবাইকে আনন্দ দিয়ে যেয়ো। আশা করি আমি তোমার নিয়মিত লেখক হতে পারব।

    নিশাত সামিয়া

    ১ম র্বষ, ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা

    কিআ: এসএসসি তো ভয়ংকর পরীক্ষা। পরীক্ষার ভয়ে কত মানুষ নিজের নামই ভুলে যায়, আর তুমি তো কেবল আমাকে ভুলে গিয়েছিলে! ব্যাপার না, এইচএসসি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত মনে রাখবে আশা করি। আর লেখা পাঠানোর নিয়মটা পড়ো ভালোমতো। তারপর লেখা পাঠাও।

  • প্রিয় কিআ

    আজ না আমার মনটা একটু খারাপ! কী কারণ, জানা নেই। তাই ভাবলাম তোমাকে চিঠি লিখি। যদি মনটা ভালো হয়। আর তোমাকে যেই চিঠি লিখতে শুরু করলাম, সত্যি সত্যি আমার মনটা ভালো হয়ে গেল। অবশ্য এই কারণটা আমার জানা। যে কারোরই প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কথা বললে মন ভালো হয়ে যায়। আর তুমি তো আমার প্রিয় বন্ধু, জীবনের নিত্যসঙ্গী। তাই তোমার সঙ্গে কথা বলায় আমারও মনটা ভালো হয়ে গেল। ভালো থেকো প্রিয় বন্ধু।

    আয়শা মণি রোদেলা

    বদরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বদরগঞ্জ, রংপুর

    কিআ: যখনই তোমার মন খারাপ হবে, চিঠি লিখতে শুরু করবে। মন ভালো হবেই। তাও কাজ না হলে চাইলে এক কাজ করতে পারো। যত রাগ আছে, একসঙ্গে জমিয়ে আমাকে একটা চিঠি লিখবে। দেখবে রাগ কমে গেছে। কারণ, রাগগুলো তো আমাকে দিয়েই দিয়েছ চিঠিতে। তাই না? ভালো থেকে রোদেলা। মন খারাপ কোরো না।

  • প্রিয় কিআ

    কদিন ধরেই তোমার ওপর খুব রাগ। লিখব লিখব করেও চিঠি লিখতে পারছিলাম না। অবশেষে আজ চিঠি লিখেই ফেললাম। এর আগেও দু–তিনটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু ছাপালে না। আপুর সঙ্গে বাজিও ধরেছিলাম খুব আশা নিয়ে। ভেবেছিলাম চিঠি ছাপাবে। তবে তুমি ছাপাওনি, সেই জন্য আপুকে শখের জমানো টাকা দিয়ে চকলেট কিনে খাওয়াতে হয়েছে। এবার যদি চিঠি না ছাপাও, তাহলে আমি খুব কান্না করব। আর চিঠি পাঠাব না। ঘরে যত কিআ আছে, সব ছিঁড়ে ফেলব ও কিআ পড়া বন্ধ করে দেব। আমি অবশ্য গুছিয়ে লিখতে পারি না। সেটা মনে রেখে ভুল হলে নিজ গুণে শুধরে নিয়ো। ভালো থেকো।

    সাউদা আফনান

    বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, চট্টগ্রাম

    কিআ: তুমি কি কিআ ছেঁড়ায় খুব পারদর্শী? চাইলে আমাদের অফিসে চলে আসতে পারো। প্রতি মাসে তোমাদের পাঠানো চিঠিগুলোর খাম ছিঁড়তে হিমশিম খায় আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা। তুমি এলে কাজটা হয়তো সহজ হবে। কী বলো? তোমার আপুর উচিত আমাদের ধন্যবাদ জানানো। চিঠি তাড়াতাড়ি ছাপা হয়ে গেলে ও অন্তত চকলেট পেত না। রাগ কমেছে তো? আরও চিঠি পাঠিয়ো। ভালো থেকো।

  • প্রিয় কিআ

    এটা কিন্তু মোটেই ঠিক না। আমরা যেমন গল্প ভালোবাসি, তেমনি কবিতাও ভালোবাসি। কিন্তু তোমার পাতায় তো শুধু আমাদের লেখা গল্পগুলোই দেখতে পাই। তুমি কি কবিতা পছন্দ করো না?

    মুহাম্মদ জাওয়াদ

    বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল

    কিআ: খুব পছন্দ করি কবিতা। তবে আমরা মৌলিক কবিতা তেমন পাই না। অনেকেই অন্যের কবিতা নিজের নামে পাঠিয়ে দেয়। এ রকম অনেক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। যদি নিজের লেখা খুব সুন্দর কবিতা কেউ পাঠায়, অবশ্যই আমরা ছাপব।

  • প্রিয় কিআ

    আচ্ছা, আমার চিঠি কি তোমার চোখে পড়ে না? নাকি চোখে পড়লেও তুমি ছাপো না? গত আগস্ট থেকে আমি তোমাকে নিয়মিত চিঠি পাঠিয়ে যাচ্ছি। তুমি একটাও ছাপাওনি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, না ছাপানো পর্যন্ত আমি তোমাকে লিখতেই থাকবো। (এই কাজে আমার বাবাও আমাকে সমর্থন করছে)। ‘অদম্য কিআ চিঠি প্রেরক’ নামের কোনো উপাধি থাকলে সেটা আমিই পেতাম (নিজের প্রশংসা নিজেই করলাম)।

    মজার ব্যাপার কি জানো? তুমি আমার লেখা না ছাপালে আমার একটুও মন খারাপ হয় না। কিন্তু আমার ভাই মুখ কালো করে বসে থাকে। আর আমি এই লেখাটা যখন লিখছি, তখন ছোট ভাই এসে বলল তোমার এ চিঠিটাও ছাপবে না। সুতরাং লিখে নাকি কোনো লাভ নেই।

    ওহ্ শোনো (পড়ো), আমি যদি নিজের লেখা কোনো গল্প পাঠাতে চাই, তাহলে ই-মেইলের সাবজেক্টে কোন বিভাগের নাম লিখব? আর কুইজের উত্তর কি এখন আর ই-মেইলে দেওয়া যাবে না?

    নিশাত

    ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা

    কিআ: হে অদম্য কিআ চিঠি প্রেরক, তোমার ভাইকে বলে দিয়ো, ‘দেখ, ঠিকই আমার চিঠি ছাপা হয়েছে।’ আসলে সব চিঠিই আমরা পড়ি। কিন্তু সব চিঠি ছাপানো কি সম্ভব, বলো? তাই শত শত চিঠি থেকে যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ আর খুব মজার, যেগুলোতে মোটামুটি সবার পাঠানো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়ে যায়, সেগুলোই আমরা ছাপি। এ জন্য যে তুমি মন খারাপ কোরো না, তা শুনে খুব ভালো লাগল। কারণ, আমার নিজেরই মন খারাপ হয়ে যায়, এত সুন্দর সুন্দর চিঠি ছাপতে পারি না বলে।

    আর শোনো (পড়ো), গল্প লিখতে হলে ই–মেইলের সাবজেক্টে লিখবে ‘গল্প’। তারপর পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। অবশ্যই ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখবে। আর আপাতত আমরা কুইজের উত্তর ই–মেইলে নিচ্ছি না। বুঝেছ?