মায়ের ছবি, গ্রেনেড এবং অন্যান্য

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা
  • পুলিশ: চুরি করা টাকা কই রাখছিস বল?
    লাল্টু: স্যার, আমি টাকার খবর জানি না।
    পুলিশ: সহজে বলবি, নাকি কথা আদায় করব?
    লাল্টু: স্যার, ওই দিক দিয়ে গেলে তিনটা তালগাছ পাবেন।
    পুলিশ: তালগাছের গোড়ায় পুঁতে রাখছিস?
    লাল্টু: না স্যার, প্রথম দুইটা তালগাছ বাদ। তিন নম্বরটার পাশ দিয়ে তিনটা রাস্তা আছে। প্রথম দুইটা বাদ। তিন নম্বর রাস্তা দিয়ে গিয়ে তিনটা বাড়ি পাবেন।
    পুলিশ: টাকা কোন বাড়িতে বল!
    লাল্টু: প্রথম দুইটা বাদ। তিন নম্বর বাড়িতে গিয়ে তিনটা ঘর। প্রথম দুইটা বাদ তিন নম্বর ঘরে তিনটা আলমারি আছে। প্রথম দুইটা বাদ। তিন নম্বরটাতে তিনটা ড্রয়ার আছে। তিন নম্বর ড্রয়ারে...
    পুলিশ: টাকা আছে?
    লাল্টু: স্যার, একটা ছবি আছে। ছবিটা আমার মায়ের। ওই ছবির কসম স্যার। আমি টাকার খবর জানি না, স্যার।

  • এক লোককে লম্বা একটা দড়ি নিয়ে মাঠের মধ্যে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে আরেকজন লোক কৌতূহলী হয়ে তার দিকে এগিয়ে গেলেন। তার কাছে জানতে চাইলেন—
    : আচ্ছা, আপনি কী করছেন এখানে জানতে পারি?
    : ইয়ে…মানে আমি একটু দুশ্চিন্তা আর সংশয়ের মধ্যে আছি। আমি কিছুতেই মনে করতে পারছি না যে আমি কি গরু বাঁধার এই দড়িটা খুঁজতে এসে সেটা খুঁজে
    পেয়েছি, নাকি দড়ি আছে কিন্তু গরুটা হারিয়েছি!

  • এক ভদ্রলোক একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখল তার বারান্দায় একটা গ্রেনেড।
    সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করল।
    ভাই, আমার বাড়ির বারান্দায় একটা গ্রেনেড দেখতে পাচ্ছি।
    থানা থেকে উত্তর দিল, তিন দিন অপেক্ষা করুন। যদি কেউ নিতে না আসে, তাহলে ওটা আপনি নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন।

  • নতুন বছরের প্রথম দিন মালিক বলছেন চাকরকে, ‘গত বছর তুই বেশ ভালো কাজ করেছিস। এই নে ১০ হাজার টাকার চেক। এ বছর এমন ভালো কাজ দেখাতে পারলে
    আগামী বছর চেকে সই করে দেব!’